📝 গত বছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের রাজনীতিতে ঘটে এক নাটকীয় পরিবর্তন। ছাত্র-জনতার গণবিস্ফোরণে পদত্যাগ করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ওই দিনই দেশ ত্যাগ করেন।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিবিসি বাংলা এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানায়, শেখ হাসিনার দেশত্যাগের কয়েক ঘণ্টা আগে ঢাকা থেকে দিল্লিতে গিয়েছিল দুটি গুরুত্বপূর্ণ ফোন কল, যেগুলো ভারতীয় সরকারকে তৎক্ষণাৎ সক্রিয় করে তোলে।
প্রথম ফোনটি এসেছিল সরাসরি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয় থেকে। যদিও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর বলেননি ফোনটি তিনি নিজে নিয়েছিলেন কি না, তবে কূটনৈতিক রীতিনীতির ভিত্তিতে ধরে নেওয়া যায় এটি প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের কথোপকথনই ছিল। সেই ফোনে শেখ হাসিনা ভারতের প্রতি অনুরোধ জানান, তাকে আপাতত ভারত প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হোক। ভারতও সে অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দেয়।
এরপর দ্বিতীয় ফোনটি আসে বাংলাদেশের বিমানবাহিনী থেকে ভারতের এয়ারফোর্স কমান্ডের উদ্দেশে। শেখ হাসিনাকে বহনকারী সামরিক বিমানের জন্য ভারতীয় আকাশসীমা এবং নির্দিষ্ট ঘাঁটিতে অবতরণের ক্লিয়ারেন্স চাওয়া হয়। এই ক্লিয়ারেন্সও দ্রুত দেওয়া হয়।
তবে ভারত মনে করেছিল শেখ হাসিনা সেদিন রাতেই লন্ডনের উদ্দেশে দিল্লি ছাড়বেন। কারণ শেখ রেহানা যুক্তরাজ্যের নাগরিক এবং শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট ছিল। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার তখনই তাকে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি। ফলে সেদিন রাতেই শেখ হাসিনা অন্য কোনও দেশে যেতে পারেননি। এমনকি তার বাহন সিজে-১৩০ বিমানটিকেও হিন্ডন বিমানঘাঁটিতে একরাত অবস্থান করতে হয়।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বারবার জানিয়ে এসেছে, শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান ‘সাময়িক’ এবং তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
এখন প্রশ্ন উঠছে, শেখ হাসিনার পরবর্তী গন্তব্য কোথায় হবে? আন্তর্জাতিক মহলে এই ঘটনার প্রভাব কতটা পড়বে? এসব উত্তর খুঁজছে পুরো দক্ষিণ এশিয়া।🚦
📰আরো পড়ুন👉◾যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক ছাড়ের চুক্তি কূটনৈতিক বিজয়: ড. ইউনূস◾ বাংলাদেশের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশ, আগের চেয়ে ১৫ শতাংশ কম◾ছাত্রীরা রাত ১০টার মধ্যে হলে না ঢুকলে আসন বাতিলের হুঁশিয়ারি, চবি সহকারী প্রক্টরের বক্তব্যে বিতর্ক