ঢাকাMonday , 11 August 2025
  1. অন্যান্য
  2. অন্যান্য দল
  3. অপরাধ
  4. অর্থনীতি
  5. আ:লীগ
  6. আইন-আদালত
  7. আনন্দ সময়
  8. আন্তর্জাতিক
  9. আমাদের মিডিয়া
  10. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
  11. ইসলামের আলো
  12. এনসিপি
  13. খুলনা বিভাগ
  14. খেলাধুলা
  15. চট্টগ্রাম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

৪ হাজার শিক্ষার্থী ফেল থেকে পাস — খাতা মূল্যায়নের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস!

Link Copied!

📝 বাংলা, ইংরেজি, গণিত, আইসিটিতে সর্বাধিক ভুল, পরীক্ষকদের তাড়াহুড়া ও গাফিলতিতে বিপুল শিক্ষার্থীর ভাগ্য বদল — কঠোর শাস্তির মুখে দায়ী পরীক্ষকরা।

 

Motherland 24 News Desk: এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষণে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। খাতা পুনর্মূল্যায়নের ফলে ৪ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী ফেল থেকে পাস করেছে।

সংশ্লিষ্টদের দাবি, পরীক্ষক সংকট, স্বল্প সময়ে বিপুল সংখ্যক খাতা মূল্যায়ন এবং খাতা মূল্যায়নে সম্মানী কম হওয়ায় তাড়াহুড়া করে খাতা দেখা হয়, ফলে ভুলের পরিমাণ বেড়েছে।

আন্তঃবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার জানিয়েছেন, চলতি বছর খাতা পুনঃনিরীক্ষণে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে যাতে কোনো শিক্ষার্থী দ্বিতীয়বার ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তবে তিনি পরীক্ষকদের গাফিলতির বিষয়টি স্বীকার করেছেন এবং ধীরে ধীরে এ ভুল কমিয়ে আনার আশ্বাস দিয়েছেন।

বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও আইসিটিতে বেশি ভুল

তথ্য অনুযায়ী, পরীক্ষকরা বাংলা, ইংরেজি, গণিত এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে বেশি ভুল করেছেন। এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে—এসব বিষয় সব শিক্ষার্থীর জন্য বাধ্যতামূলক, ফলে খাতার সংখ্যা বেশি হলেও যোগ্য পরীক্ষক কম। শুধু ঢাকা বোর্ডে চলতি বছর গণিত বিষয়ে ৪২,৯৩৬ জন শিক্ষার্থী খাতা চ্যালেঞ্জ করেছে।

একজন পরীক্ষককে মাত্র ১০-১২ দিনের মধ্যে ৫০০-৬০০ খাতা মূল্যায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়, যা সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। এতে নম্বর যোগের ভুল, উত্তরপত্রে মার্কস লিখতে গড়মিল, এমনকি ওএমআর ফরমে বৃত্ত ভরাটে ভুল বেড়ে যায়।

শাস্তির মুখে অবহেলাকারী পরীক্ষকরা

বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, খাতা মূল্যায়নে অবহেলা বা ইচ্ছাকৃত ভুল প্রমাণিত হলে পরীক্ষকদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। অপরাধের মাত্রা বেশি হলে মন্ত্রণালয়ে বেতন-ভাতা বন্ধ করার সুপারিশ করা হবে। স্থায়ী কালো তালিকাভুক্তি বা ১-৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করাও হতে পারে। ইচ্ছাকৃত ভুলের প্রমাণ মিললে ফৌজদারি মামলা পর্যন্ত গড়াতে পারে।

চ্যালেঞ্জ হওয়া খাতাগুলো তৃতীয় পরীক্ষক দিয়ে পুনর্মূল্যায়নের সময় প্রথম পরীক্ষকের ভুলগুলো বিস্তারিত মন্তব্য আকারে লিপিবদ্ধ করা হয়। এসব মন্তব্যের ভিত্তিতে দায়ী পরীক্ষকদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।

ভুল কমাতে নতুন পদক্ষেপ বিবেচনায়

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, পরীক্ষকদের সময়সীমা বাড়িয়ে ১৪-১৬ দিন করার প্রস্তাব বিবেচনায় রয়েছে। এতে তাড়াহুড়া কমে ভুলও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। বোর্ডের লক্ষ্য—ভবিষ্যতে এমন ভুলের পুনরাবৃত্তি রোধ করা এবং শিক্ষার্থীদের ন্যায্য ফলাফল নিশ্চিত করা। তথ্যসূত্র

📰আরো পড়ুন:☞ ১০টির বেশি সিম থাকলে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বন্ধ না করলে পড়তে হবে বিপদে

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি। আমাদের ওয়েবসাইট- www.motherland24.com