📝 মার্কিন নতুন শুল্কে প্রতিযোগীরা চাপে, তুলনামূলক কম শুল্কে সুবিধাজনক অবস্থানে বাংলাদেশ
Motherland24 Desk Reoprt: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাক (RMG) রপ্তানির জন্য বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত নতুন শুল্কনীতির ফলে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পণ্যের ওপর নতুন করে ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করলেও প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় এটি তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) জানিয়েছে, বিদ্যমান ১৬.৫ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে নতুন ২০ শতাংশ যোগ হওয়ায় কার্যকর শুল্ক হার দাঁড়াচ্ছে ৩৬.৫ শতাংশ। অথচ প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম, ভারত ও চীনকে ৫০ থেকে ৬৬ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক গুনতে হবে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের শীর্ষ পাঁচ রপ্তানি পণ্য—ট্রাউজার, নিটেড পোলো শার্ট, ওভেন শার্ট, সোয়েটার ও অন্তর্বাস—যার সবগুলোতেই তুলার ব্যবহার বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে সুতির পোশাকের ওপর শুল্ক হার তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় বাংলাদেশ চীন ও ভিয়েতনামের তুলনায় আরও সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে।
ট্রাম্পের নতুন নীতিতে বলা হয়েছে, কোনো রপ্তানি পণ্যে যদি ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার হয়, তবে সেই অংশে ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক মওকুফ করা হবে। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশে তৈরি ১০ ডলারের শার্টে যদি ২০ শতাংশ মার্কিন তুলা ব্যবহৃত হয়, তবে শুল্ক কেবল ৮ ডলারের ওপর প্রযোজ্য হবে। ইতোমধ্যে কিছু রপ্তানিকারক ৪০ শতাংশ পর্যন্ত মার্কিন তুলা ব্যবহার করায় তাদের শুল্ক আরও কমবে।
২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ৮৫ বিলিয়ন ডলারের পোশাক বাজারে বাংলাদেশের হিস্যা ছিল ৯.৩ শতাংশ। ব্যবসায়ীদের ধারণা, তুলনামূলক কম শুল্কের কারণে এই হিস্যা দ্রুত বাড়বে। মার্কিন ব্র্যান্ডগুলো খরচ কমাতে বাংলাদেশকে বেছে নিতে পারে।
প্রতিযোগীদের অবস্থা একেবারেই ভিন্ন। ভিয়েতনামের বাজার হিস্যা ১৮.৯ শতাংশ হলেও তাদের পণ্যে গড়ে ৩২ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে নতুন ২০ শতাংশ যোগ হওয়ায় কার্যকর শুল্ক ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাছাড়া, চীনা কাঁচামালের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় অতিরিক্ত ৪০ শতাংশ শুল্কের ঝুঁকিও রয়েছে।
ভারত সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে। রাশিয়া থেকে তেল আমদানির কারণে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। পোশাকের গড় শুল্ক মিলিয়ে কার্যকর হার দাঁড়িয়েছে ৬৬.৫ শতাংশ। অন্যদিকে, চীনের বর্তমান শুল্ক হার ৫৫ শতাংশ এবং তা আরও বাড়ার আশঙ্কা আছে।
হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদ বলেন, “শুল্কের এই হার আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক।” বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান আশা প্রকাশ করেছেন, পোশাক ছাড়াও জুতা, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি এই সুযোগে বাড়বে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগীরা চাপে থাকলেও বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের জন্য এখনই সময় বাজার সম্প্রসারণের। তথ্যসূত্র
📰আরো পড়ুন:☞ পরীক্ষা না দিয়েও পাস করতে পারে আনিসা! কি সেই শর্ত?