- ◾ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক বক্তব্য থেকে বিরত রাখছে — দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞ রাধা দত্তের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে নতুন কূটনৈতিক ইঙ্গিত
📝 ডেস্ক রিপোর্ট: শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত রাখছে ভারত
রাধা দত্ত বললেন—বাংলাদেশ নিয়ে নতুন করে ভাবছে দিল্লি
শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত রাখছে ভারত — সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম আলোচিত রাজনৈতিক বিষয় এটি। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক এখন যেন এক নতুন মোড়ে। দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা জোরালো হয়েছে—দিল্লি কি বাংলাদেশ নীতিতে পরিবর্তন আনছে?
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত এখন আগের মতো সরাসরি রাজনৈতিক সমর্থন বা হস্তক্ষেপে আগ্রহী নয়। বরং তারা চেষ্টা করছে একটি “কূটনৈতিক ভারসাম্য” বজায় রাখতে।
ভারতের দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞ রাধা দত্ত বলেন, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশবিরোধী বক্তব্য থেকে বিরত রাখতে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বার্তা পাঠানো হয়েছে।
তার ভাষায় — “ভারত এখন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আগের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে গেছে। শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়ার বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
তিনি মনে করেন, ভারত এখন বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতা বোঝার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের জন্য নিরাপত্তা হুমকি না হয়, এমন নিশ্চয়তা দিল্লি চায়।
ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর শেখ হাসিনা অন্তর্বর্তী সরকার ও অভ্যুত্থান নিয়ে বারবার বক্তব্য দিয়েছেন। তবে সাম্প্রতিক সময় তার সোশ্যাল মিডিয়া উপস্থিতি প্রায় নেই বললেই চলে।
বিশ্লেষকদের মতে, এটি ভারতের কূটনৈতিক প্রভাবেরই ইঙ্গিত। কেননা, দিল্লি এখন কোনোভাবেই চায় না যে তার আশ্রিত কোনো রাজনীতিক প্রতিবেশী দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করুক।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার ভারতের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে—শেখ হাসিনাকে বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত রাখতে। কিন্তু আগে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
এখন রাধা দত্তের মন্তব্যে বোঝা যাচ্ছে, দিল্লি বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত আব্দুল হাই বলেন, ভারতের এই অবস্থান তাদের আগের নীতি থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দেয়।
তিনি বলেন, “শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ওপর।”
অর্থাৎ দিল্লি অপেক্ষা করছে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের জন্য।
কৌশল উদ্দেশ্য প্রভাব
মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ বক্তব্যের বিস্তার রোধ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা
দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা নতুন নিরাপত্তা চুক্তি আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি
তথ্যসচেতন কূটনীতি সামাজিক মিডিয়া পর্যবেক্ষণ বিদেশি প্রচার ঠেকানো
সব মিলিয়ে বলা যায়—শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত রাখছে ভারত—এই খবর কেবল একটি গুজব নয়, বরং বাস্তব কূটনৈতিক বাস্তবতার ইঙ্গিত বহন করছে।
ভারত এখন নিজের ভূরাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় অত্যন্ত সাবধানী। আর বাংলাদেশের জন্য এখন সবচেয়ে জরুরি হলো—ভারতের সঙ্গে কৌশলগত ভারসাম্য বজায় রেখে জাতীয় সার্বভৌমত্ব অটুট রাখা। তথ্যসূত্র
♻️ আরো পড়ুন:☞ দাদার লাঠির আঘাতে এক মাসের শিশুর প্রাণহানির হৃদয়বিদারক ঘটনা

