📰 ২৯ বছর পর গৃহবধূ থেকে ব্যবসায়ী—১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, নতুন মোড় জাতির চোখে জল এনে দিয়েছে
◾সালমান শাহ হত্যা মামলা নতুন করে তদন্তের আওতায় এসেছে। স্ত্রী সামিরা হক ও খলনায়ক ডনসহ ১১ জনের নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। ২৯ বছর পর এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে পুরো দেশবাসী চরম উত্তেজনা ও আবেগে অপেক্ষা করছে। জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন।
📝 মতিউর মুন্না | বিশেষ প্রতিবেদন : বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক সালমান শাহের মৃত্যুর ২৯ বছর পর ঘটনাটি নতুন করে হত্যাকাণ্ড হিসেবে তদন্তের আওতায় এসেছে। তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া রহস্য এবার আইনের চূড়ান্ত কাঠগড়ায় দাঁড়াতে চলেছে। আদালতের নির্দেশে সামিরা হক ও ডন সহ নতুন আসামী হিসেবে মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রমনা থানায় রুজু হওয়ায় নতুন করে আগ্রহ, ক্ষোভ ও আবেগের জোয়ার উঠেছে জনগণের মাঝে।
🔸২৯ বছর পর কেন নতুন হত্যা মামলা?
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সালমান শাহ’র মরদেহ। প্রথমে এটি অপমৃত্যু হিসেবে ধরা হলেও, তার পরিবার এবং ভক্তরা বরাবরই দাবি করে আসছিলেন এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। বিচার না পাওয়ার বেদনায় সালমান শাহ’র বাবা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আইনি লড়াই চালিয়ে গেছেন। সেই লড়াইয়ের ধারাবাহিকতায় অবশেষে আদালত মামলাটিকে হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী সালমান শাহের মামা আলমগীর কুমকুম বলেন, “আমাদের সালমান নিজে মারা যেতে পারে না। তাকে হত্যা করা হয়েছে। আজ ২৯ বছর পর আল্লাহর রহমতে সত্য প্রকাশের দ্বার খুলেছে।”
🔸 কারা আসামির তালিকায়?
এই মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে নাম এসেছে তার স্ত্রী সামিরা হকের। এছাড়াও অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন—
চলচ্চিত্রের খলনায়ক ডন
ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই
লতিফা হক লুসি
আরো কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি
পাশাপাশি কয়েকজন অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত
এই তালিকা প্রকাশের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া। অনেকেই বলছেন, “ন্যায়ের শাসন ফিরে আসছে”, আবার কেউ কেউ বলছেন, “দেরি হলেও সালমানের রক্তের বিচার হবে।”
🔸আদালতের নির্দেশে তদন্তের গতি বৃদ্ধি
ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক রমনা মডেল থানাকে হত্যার অভিযোগে মামলা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এই নির্দেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মামলা রুজু হয়। আদালত স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, মামলাটি হত্যা ধারা অনুযায়ী তদন্ত করতে হবে।
🔸 পিবিআই-এর প্রতিবেদন কেন প্রশ্নবিদ্ধ?
পিবিআই পূর্বের প্রশ্নোত্তর প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিল, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু তার পরিবার ও স্বজনেরা এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে বলেন—
“যে অবস্থায় সালমানের মরদেহ পাওয়া গেছে, তা আত্মহত্যার দৃশ্য নয়। সেখানে ছিল জোরপূর্বক হত্যার চিহ্ন।”
🔸পুরো জাতি অপেক্ষায় — খুলবে কি রহস্যের জট?
বাংলা সিনেমার ইতিহাসে এমন উন্মাদনা আর কখনো দেখা যায়নি। আজ ২৯ বছর পর আবার আলোচনায় সামিরা হক ও ডন সহ নতুন আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, যা কেবল একটি মামলাই নয়—এটি কোটি ভক্তের হৃদয়ের আর্তনাদ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এই মামলার সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত হয়, তাহলে বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এটি হবে সবচেয়ে বড় আইনি সাফল্য।
🔸জনমতের বিস্ফোরণ
কেউ বলছেন এটি বাংলাদেশের “OJ Simpson Case” এর মতো ঐতিহাসিক হবে
কেউ বলছেন, “সালমান শাহ ফিরে আসবেন না, কিন্তু তার হত্যাকারীরা আইনের মুখোমুখি হোক”
ভক্তদের কান্না ভেসে উঠছে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে—”এই রায় আমাদের আত্মার মুক্তির রায়”
🔸এরপর কী হতে পারে?
আইনজীবীরা বলছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা হতে পারে খুব শিগগিরই। মামলার তদন্তে গোয়েন্দা সংস্থা ছাড়াও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ যুক্ত হতে পারেন।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো সুপারস্টারের রহস্যমৃত্যু জাতীয় আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে এমন মাত্রায়। সামিরা হক ও ডন সহ নতুন আসামী তালিকা শুধু একটি বিচার নয়, এটি হচ্ছে ন্যায়বিচারের নতুন সূচনা, যা কোটি হৃদয়ের আহ্বান।
♻️ আরো পড়ুন:☞ কার্গো ভিলেজে আগুন পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিং করছেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লে: কর্ণেল মোঃ তাজুল ইসলাম

