ঋণের চাপ ও খাওয়ার অভাবে পরিবারের সম্মিলিত মৃত্যু, চিরকুটে শেষ বার্তা রেখে গেলেন মিনারুল
📝 রাজশাহীতে স্বামী-স্ত্রী ও দুই সন্তানের লাশ উদ্ধার হয়েছে। হৃদয়বিদারক চিরকুটে উঠে এসেছে ঋণের বোঝা ও খাওয়ার অভাবে আত্মহত্যার করুণ কাহিনি। পড়ুন বিস্তারিত।
ডেস্ক রিপোর্ট: রাজশাহীতে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানদের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়দের হৃদয় কাঁপিয়ে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের বামনশিকড় গ্রামে ঘটে যায় এই মর্মান্তিক ঘটনা। শুক্রবার সকালে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
মৃতরা হলেন মিনারুল ইসলাম (৩৫), তার স্ত্রী মনিরা খাতুন (২৮), ছেলে মাহিম (১৪) ও মেয়ে মিথিলা (৪)। স্থানীয়দের ধারণা, অভাব-অনটনের যন্ত্রণায় এবং ঋণের চাপে মিনারুল প্রথমে স্ত্রী ও সন্তানদের হত্যা করে পরে আত্মহত্যা করেন।
তদন্তে ঘটনাস্থল থেকে একটি হৃদয়বিদারক চিরকুট উদ্ধার করা হয়। চিরকুটে লেখা—
“আমি মিনারুল নিচের যে সব লেখা লেখবো। সব আমার নিজের কথা লিখে যাচ্ছি। কারণ, আমরা চারজন আজ রাতে মারা যাবো। এই মৃত্যুর জন্য কারো কোনো দোষ নেই। আমি মিনারুল প্রথমে আমার স্ত্রীকে মেরেছি। তারপর আমার মাহিমকে মেরেছি। তারপর আমার মিথিলাকে মেরেছি। তারপর আমি নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে মরেছি।”
অন্য অংশে লেখা—
“আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে। এত কষ্ট আর মেনে নিতে পারছি না। তাই আমারা বেঁচে থাকার চেয়ে মরে গেলাম সেই ভাল হলো। আমার বাবা আমার জন্য অনেক মানুষের কাছে ছোট হয়েছে, আর হতে হবে না।”
মতিহার থানার ওসি আবদুল মালেক জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রী-সন্তানদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনা গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নামিয়ে এনেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দারিদ্র্য ও মানসিক চাপে মানুষ এমন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়। সমাজে সহানুভূতি ও সহযোগিতার পরিবেশ তৈরি করাই হতে পারে এমন ট্র্যাজেডি রোধের উপায়। তথ্যসূত্র
📰আরো পড়ুন:☞ অ্যাম্বুলেন্স আটকানোয় নবজাতকের মৃত্যু: ৪০ মিনিটের দুঃসহ বন্দি সময় কাঁদিয়ে গেল দেশকে
🌏 আমাদের খবর পড়ুন : www.motherland24.com