জুমার নামাজের পর সংঘবদ্ধ হামলা, তিনদিনের ওরশ মাহফিলের প্রস্তুতির মাঝে ধ্বংস হলো খানকা
📝রাজশাহীতে মাইজভান্ডারি খানকা ভাঙচুর ঘটনা নিয়ে স্থানীয় জনতার ক্ষোভ ও হামলা। তিনদিনের ওরশ মাহফিলের আগে কেন গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো এই খানকা? বিস্তারিত পড়ুন এখনই।
ডেস্ক রিপোর্ট : রাজশাহীতে মাইজভান্ডারি খানকা ভাঙচুরের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছি ইউনিয়নের পানিশাইল চন্দ্রপুকুর গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জুমার নামাজের পর স্থানীয় জনতা ও মুসল্লিরা একত্রিত হয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে খানকা শরীফে হামলা চালায় এবং পুরো খানকা গুঁড়িয়ে দেয়।
হামলার শিকার খানকার নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন পবার আজিজুল ইসলাম, যিনি মাইজভাণ্ডারি দরবার শরীফের পীর গোলামুর রহমানের ভক্ত। খানকায় প্রতিবছরের মতো এবারও তিনদিনব্যাপী ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ওরশ মাহফিল, ওয়াজ ও তবারক বিতরণের আয়োজন করা হয়।
আজিজুল ইসলামের জামাতা বুলবুল ইসলাম জানান, “আমরা আগেই জানতে পারি কিছু মহল হামলার পরিকল্পনা করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানালেও কোনো প্রতিরোধ হয়নি। হামলার সময় আমরা বেরিয়ে আসি, তাই হতাহতের ঘটনা ঘটেনি, তবে পুরো খানকা ভেঙে দিয়েছে।”
অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, ওই খানকা মাদক সেবন, অনৈসলামিক কর্মকাণ্ড ও বেদআত প্রচারের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল। এক বাসিন্দা বলেন, “প্রকাশ্যে গাঁজাসহ নানা নেশা হতো। তাই স্থানীয়রা একজোট হয়ে এটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে।”
পুলিশের মুখপাত্র ও উপ-কমিশনার গাজিউর রহমান বলেন, “আমরা ঘটনার খবর পেয়েছি। এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত নাকি সামাজিক অনাচার দমনে জনতার প্রতিক্রিয়া—এ নিয়ে দ্বিমত তৈরি হয়েছে। তথ্যসূত্র
📰আরো পড়ুন:☞ টাঙ্গাইল হাইওয়েতে ভয়াবহ পিকআপ দুর্ঘটনা: শুটিং ইউনিটের ৩ জন আশঙ্কাজনক

