চকরিয়ায় পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল জনতা, তদন্তের দাবি তীব্রতর
📝 চকরিয়ায় পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু নিয়ে উত্তাল জনতা। তিন পুলিশ প্রত্যাহার, তদন্ত দাবি তীব্র। পড়ুন এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার বিস্তারিত!
ডেস্ক রিপোর্ট : কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু স্থানীয় জনমনে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে এ ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে থানা এলাকা। ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা থানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং ঘটনাটিকে ‘পরিকল্পিত হত্যা’ দাবি করেন। তারা দ্রুত তদন্ত এবং দায়ীদের শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মৃত যুবককে গতকাল রাতে থানায় আনা হয়। পরিবারের দাবি, তিনি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এ ধরনের পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু কেবলমাত্র দায়িত্বহীনতা নয়, এটি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে চকরিয়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ হানিফ মিয়া এবং দুই কনস্টেবল মহি উদ্দিন ও ইশরাক হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, “প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যার ঘটনা হিসেবে ধরা হচ্ছে। দায়িত্ব অবহেলার কারণে তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।”
পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু নিয়ে ক্ষোভ কেন বাড়ছে?
বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে একাধিক থানা হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, যা সাধারণ মানুষের আস্থা নষ্ট করছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এসব ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় এমন ঘটনা বাড়ছে।
তদন্তের দাবি ও জনমতের চাপ
স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও দোষীদের বিচারের আওতায় না আনলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এই মৃত্যু নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
সরকারি পদক্ষেপ ও পরবর্তী করণীয়
জানা গেছে, ঘটনাটির তদন্তে ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তথ্যসূত্র
📰আরো পড়ুন:☞ শেখ হাসিনা হত্যাগুম: ১৫ বছরের ভয়ংকর অভিযোগে মির্জা ফখরুলের বিস্ফোরক দাবি