মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। মায়ের মৃত্যুর মাত্র ১৫ মিনিট পর স্ট্রোক করে মারা গেলেন ছেলে সাইফুল ইসলাম। পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া, এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া।
📝 মায়ের মৃত্যুর ১৫ মিনিট পর ছেলের মৃত্যু চুয়াডাঙ্গায় চরম শোকের জন্ম দিয়েছে। কীভাবে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটলো জেনে নিন বিস্তারিত।
ডেস্ক রিপোর্ট : মায়ের মৃত্যুর ১৫ মিনিট পর ছেলের মৃত্যু—এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি চুয়াডাঙ্গা জেলায় গভীর শোকের ছায়া ফেলেছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের এক মর্মান্তিক মুহূর্তে মায়ের শেষ নিঃশ্বাস নেওয়ার মাত্র ১৫ মিনিট পরেই তার ছেলে সাইফুল ইসলামও পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। স্বজনদের আহাজারি ও এলাকাবাসীর শোকগাথায় ভরে উঠেছে শহর।
ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী, ৬৩ বছর বয়সী চায়না বেগম শনিবার বিকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। খবর পেয়ে তার ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০) সন্ধ্যার পর হাসপাতালে ছুটে আসেন। কিন্তু মায়ের মৃত্যুর খবর শোনার সাথে সাথেই তিনি প্রচণ্ড শোক ও মানসিক আঘাতে স্ট্রোক করেন। দ্রুত চিকিৎসা শুরু হলেও মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানে তারও মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ইসরাত জেরিন জেসিকা জানান, মায়ের মৃত্যুর ১৫ মিনিট পর ছেলের মৃত্যু অত্যন্ত বিরল এবং মানসিক শোকজনিত স্ট্রোকের কারণেই এটি ঘটতে পারে। তিনি বলেন, “চায়না বেগম মাথা ঘুরে পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান। চিকিৎসা চলাকালীন তার মৃত্যু হয়। পরে তার ছেলে হাসপাতালে এসে মায়ের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে স্ট্রোক করেন এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান।”
পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, সাইফুল ইসলাম দুই বছর আগে জীবিকার তাগিদে ওমানে পাড়ি জমান। মাস দুয়েক আগে তিনি ছুটিতে বাড়ি ফিরেছিলেন। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর তার পুনরায় ওমানে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু নিয়তির নির্মম খেলায় তিনি চিরবিদায় নিলেন মায়ের মৃত্যুর পরপরই।
চুয়াডাঙ্গা শহরের বাগানপাড়ার এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। অনেকেই শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, হঠাৎ প্রিয়জনের মৃত্যু অনেক সময় মানসিক ও শারীরিক ধাক্কা সৃষ্টি করে, যা মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ ব্যাহত করে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
এলাকাবাসী বলছেন, এই ঘটনা শুধু একটি পরিবারের নয়, সমগ্র সমাজের জন্য এক হৃদয়বিদারক শিক্ষা। মায়ের প্রতি সন্তানের অগাধ ভালোবাসা ও আবেগ কখনো কখনো এমন মর্মান্তিক পরিণতির কারণ হতে পারে। তথ্যসূত্র
📰আরো পড়ুন:☞ “স্বাধীন খসরুর ক্ষমা প্রার্থনা: সয়েদা রিজওয়ানাকে নিয়ে বিতর্কের ঝড়, জানুন পুরো ঘটনা”