দুবাইয়ে অর্থ পাচার মামলায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা
📝 সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ১২০০ কোটি টাকা দুবাইয়ে পাচার করে ২২৬টি ফ্ল্যাট কিনেছেন। সিআইডি মানিলন্ডারিং মামলায় বিস্তারিত জানুন।
ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারো চাঞ্চল্যকর এক তথ্য সামনে এসেছে। সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী দুবাইয়ে ১২০০ কোটি টাকা পাচার করে ২২৬টি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনেছেন বলে অভিযোগ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বৃহস্পতিবার (তারিখ উল্লেখ) সিআইডি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
কীভাবে সাইফুজ্জামান চৌধুরী টাকা পাচার করলেন?
সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে, ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন এলাকায় তিনি ৩৩ কোটি ৫৬ লাখ দিরহামের সম্পত্তি ক্রয় করেন। এসব এলাকা হলো: আল বারশা সাউথ থার্ড, বারশা সাউথ ফোর্থ, জাদ্দাফ, বুর্জ খলিফা, জাবাল আলি, ওয়ার্ল্ড আইল্যান্ডসহ আরও বহু এলিট লোকেশন। স্ত্রী রুকমীলা জামানের নামে দুবাইয়ে আরও দুটি সম্পত্তির তথ্যও মিলেছে, যার মূল্য প্রায় ২২ লাখ ৫০ হাজার দিরহাম।
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও লেনদেনের বিস্তারিত
তদন্তে জানা গেছে, দুবাই ইসলামী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক ও ফার্স্ট আবুধাবি ব্যাংকে চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। তৎকালীন মুদ্রার বিনিময় হারে এই অর্থের পরিমাণ প্রায় ৩১১ কোটি টাকা। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের রেকর্ড অনুযায়ী, বিদেশে কোম্পানি নিবন্ধন, বিনিয়োগ বা সম্পত্তি কেনার কোনো সরকারি অনুমতি তিনি পাননি।
সিআইডির আইনগত পদক্ষেপ
প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে সিআইডি চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছে। মামলায় সাইফুজ্জামান চৌধুরী (৫৬), তার স্ত্রী রুকমীলা জামান (৪৬) এবং আরও ৫-৭ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে, মানিলন্ডারিং আইনে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হতে পারে।
কেন এই ঘটনা বাংলাদেশে এত আলোচিত?
বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে অর্থ পাচারের ঘটনা আলোচনায় থাকলেও, এ ধরনের বৃহৎ অঙ্কের অর্থ বিদেশে পাচারের ঘটনা বিরল। সাধারণ মানুষের করের টাকায় গড়ে ওঠা সম্পদ বিদেশে পাচার হওয়া দেশের অর্থনীতির জন্য বড় ধাক্কা। বিশেষ করে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর মতো উচ্চপদস্থ ব্যক্তির এই ধরনের দুর্নীতির খবর সাধারণ জনগণের মাঝে ক্ষোভ তৈরি করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের ঘটনা কঠোর তদন্ত ও দ্রুত বিচার ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। তাদের মতে, যদি এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তবে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের প্রবণতা আরও বাড়তে পারে। তথ্যসূত্র
📰আরো পড়ুন:☞ জামায়াত পিআর পদ্ধতি: জনগণ না চাইলে সরে আসবে – মিয়া গোলাম পরওয়ারের জোরালো ঘোষণা!

