MOTHERLAND 24= Website Logo
ঢাকাThursday , 16 October 2025
  1. MOTHERLAND 24 – ভিডিও সংবাদ
  2. অন্যান্য দল
  3. অপরাধ
  4. অর্থনীতি
  5. আ:লীগ
  6. আইন-আদালত
  7. আন্তর্জাতিক
  8. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
  9. এনসিপি
  10. খুলনা বিভাগ
  11. খেলাধুলা
  12. গন অধিকার পরিষধ
  13. চট্টগ্রাম
  14. চট্টগ্রাম বিভাগ
  15. চাকরি
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চট্টগ্রাম ইপিজেডের আল হামিদ টেক্সটাইল কারখানায় ভয়াবহ আগুন

Link Copied!

📰 চট্টগ্রামের রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (CEPZ) দুপুরে শুরু হওয়া আগুনে বিপর্যয় — পাঁচ শতাধিক শ্রমিক আটকা পড়ার আশঙ্কা, আতঙ্কে স্থানীয়রা

  • ◾ চট্টগ্রাম ইপিজেডে আল হামিদ টেক্সটাইল কারখানায় ভয়াবহ আগুনে শতাধিক শ্রমিক আক্রান্ত ও আটকে — দ্রুত উদ্ধার ও তদন্ত দাবি।

 

📝 ডেস্ক রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, দুপুর ২টার দিকে চট্টগ্রাম রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (CEPZ)–তে অবস্থিত আল হামিদ টেক্সটাইল নামে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এই শিল্পপ্রতিষ্ঠানটি নয় তলা ভবনে অবস্থিত, যেখানে ৫০০ বা তারও বেশি শ্রমিক কর্মরত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

 

ফায়ার সার্ভিস ও জনসাধারণের বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, আগুনের খবর পেয়ে দ্রুত পরিস্থিতি মনিটর করতে ৪টি ইউনিট পাশাপাশি অন্যান্য ইউনিটেরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

 

🔸আগুনের সূত্র ও পরিস্থিতি

প্রাথমিক তদন্তে আগুন বসতুখানা (shop-floor) অথবা মেশিন ঘর থেকে শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অনেক ফ্যাক্টরিতে এই ধরনের আগুন সাধারণত বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট, ওভারহিট মেশিন, বা বিগত রক্ষণাবেক্ষণের অভাব থেকে শুরু হয় — যা বাঙালি গার্মেন্টস শিল্পে বারবার দেখা যায়।

 

স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, আগুন লাগার মুহূর্তে কিছু শ্রমিক নামাজ পড়াসময় বা বিশ্রাম কক্ষে অবস্থান করছিলেন, ফলে অনেকেই শঙ্কায় ছিলেন দ্রুত মুখোয়া হতে না পারার। এরপরই তারা ক্ষমতা ও অবস্থা অনুযায়ী উদ্ধারকাজ শুরু করেন।

 

একাধিক ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা ধাপে ধাপে আগুনকে পাঁচ থেকে ছয় দিক থেকে ঘিরে ধ্বংসাত্মক বিস্তার রোধ করার চেষ্টা করছি।

 

🔸আহত, দগ্ধ ও হতাহতের খবর

এই মুহূর্তে কোনো নিশ্চিত তথ্য দেওয়া হয়নি যে কারো প্রাণহানি ঘটেছে কি না। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে কিছু শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন এবং সাংগঠনিক দুর্যোগের কারণে বেশ কয়েকজন উদ্ধারকাজে আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।

 

কর্মীদের আভ্যন্তরিকার ও নিরাপদ প্রস্থান পথের অবস্থা এখনও পরিষ্কার নয়। অনেকেই জানাচ্ছেন যে সিঁড়ি ও বের হওয়ার রাস্তা ধুলো ও ধোঁয়ার কারণে ব্লক হয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তুতি ও নিরাপত্তানির্বাহী ব্যবস্থার ঘাটতির দিকে সন্দেহের তীর ছুঁড়েছে।

 

🔸প্রতিক্রিয়া ও দায়িত্বপ্রত্যাশা

এই ধরনের দুর্ঘটনা বাংলাদেশের গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পে পুরনো, কিন্তু স্বল্প ব্যবস্থাপনায় ঘটে — বিশেষ করে শ্রমিক নিরাপত্তা ও ফায়ার সেফ্টি প্রটোকল অনুসরণের অভাবে।

 

শ্রম মন্ত্রণালয় দিয়েছে নির্দেশ, দ্রুতভাবে ঘটনার কারণ তদন্ত করে দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ তদন্ত চালাতে। প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট কারখানার মালিক ও ব্যবস্থাপকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ মূল্যায়ন ও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

 

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে এই ঘটনার সঙ্গে দ্রুত সমন্বয় করে দুর্গত শ্রমিকদের উদ্ধার ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থাপনা করতে বলা হয়েছে।

 

শ্রম কল্যাণ সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন ও মিডিয়া সম্প্রদায় ইতিমধ্যে দাবি তুলেছে — এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে তা নিশ্চিত করার জন্য সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে।

 

🔸কেন বারবার এ ধরনের দুর্ঘটনা?

নিরাপত্তা মানদণ্ডের অবহেলা — অনেক কারখানায় অগ্নি-নির্বাপন ব্যবস্থা, জরুরি প্রস্থান পথ ও অগ্নিনিরোধ ব্যবস্থা পুরোপুরি কার্যকর করা হয় না।

 

রক্ষণাবেক্ষণ অভাব — মেশিন ও বৈদ্যুতিক লাইন নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ না করায় শর্ট-সার্কিট বা ওভারলোডিংয়ের সম্ভাবনা বেশি।

 

প্রশিক্ষণের অভাব — শ্রমিকদের আগুন নিয়ন্ত্রণ, প্রস্থান এবং নিরাপদ সঙ্কট মোকাবেলার প্রশিক্ষণ কম।

 

নিয়মনীতি ও তত্ত্বাবধান দুর্বলতা — রাজ্য ও শিল্প নিরীক্ষণ সংস্থা পর্যাপ্তভাবে নিয়ম মানদণ্ড নিশ্চিত করতে ব্যর্থ।

 

মানবিক ও ন্যায্যতা ঘাটতি — অনেক সময়ে খরচ সঙ্কোচনে প্রয়োজনীয় সেফটি জিনিসপত্র বাদ দেওয়া হয়, যা বিপজ্জনক পরিস্থিতির কারণ হয়।

 

এই কারণগুলোর সমন্বয়ে, বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পকে শুধু অর্থনৈতিক লাভের দিকে নয়, মানুষ-কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

 

🔸আগামী করণীয়

1. তাৎক্ষণিক তদন্ত — ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস ও ইঞ্জিনিয়ার দল পাঠিয়ে আগুনের শুরু ও বিস্তার চিহ্নিত করা।

 

2. শ্রমিকদের সুরক্ষা — আহত ও দগ্ধদের দ্রুত চিকিৎসা ও সাপোর্ট দেওয়া।

 

3. দায়িত্ব নির্ধারণ — মালিক, ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা তত্ত্বাবধানে দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা।

 

4. নিরাপত্তা মান উন্নয়ন — ভবিষ্যতের জন্য কঠোর অগ্নি সুরক্ষা প্রটোকল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।

 

5. নিয়মিত পরিদর্শন ও নিরীক্ষণ — সরকার ও শিল্প সংস্থা মিলিতভাবে নিয়মিত অডিট ও স্ট্যান্ডার্ড চেক বৃদ্ধির প্রয়োজন। তথ্যসূত্র

 

♻️ আরো পড়ুন:☞ ১ ও ২ টাকার কয়েন না নিলে জেল–জরিমানা! জানুন বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা”

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।