📰 দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর কুখ্যাত সন্ত্রাসী আমিনুল ইসলাম ওরফে “জাপানি হান্নান”কে অবশেষে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে আটক করেছে পুলিশ—সামাজিক মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া।
- ◾ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলায় জাপানি হান্নান গ্রেফতার—রাজধানীতে পুলিশের গোপন অভিযানে চাঞ্চল্য। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা এই শীর্ষ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে।
📝 ডেস্ক রিপোর্ট : ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলায় জাপানি হান্নান গ্রেফতার—বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে এটি এখন সবচেয়ে আলোচিত খবর। দীর্ঘদিন পলাতক থাকা কুখ্যাত সন্ত্রাসী আমিনুল ইসলাম হান্নান ওরফে “জাপানি হান্নান”কে শনিবার রাতে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় নাটকীয় অভিযানে আটক করে বিমানবন্দর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সামাজিক মাধ্যম পর্যন্ত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
গোপন অভিযানের বিস্তারিত
পুলিশ সূত্র জানায়, বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। দীর্ঘ সময় আত্মগোপনে থাকা জাপানি হান্নানকে শনাক্ত করতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে হান্নানকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছিল। অবশেষে আমরা সফল হয়েছি।”
একাধিক মামলার আসামি
অভিযোগপত্র অনুযায়ী, ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলায় জাপানি হান্নান গ্রেফতার হওয়ার পেছনে রয়েছে বছরের পর বছর ধরে তার অপরাধ সাম্রাজ্য। অতীতের সরকার আমলে সংঘটিত একটি হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি তিনি। এর পাশাপাশি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের একাধিক মামলাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পুলিশ জানায়, পূর্বেও একটি হত্যা মামলায় দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন তিনি।
রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ
স্থানীয় সূত্র ও তদন্ত কর্মকর্তাদের মতে, হান্নান রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেছে। ফ্যাসিবাদ সরকারের সময় তিনি বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন। এই কারণে ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলায় জাপানি হান্নান গ্রেফতার হওয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানান আলোচনা চলছে।
সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া
গ্রেফতারের খবর প্রকাশিত হতেই সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন দেখা দিয়েছে। টুইটার (এক্স), ফেসবুকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সাধারণ মানুষ পুলিশের এ সাফল্যকে স্বাগত জানিয়েছেন। অনেকে মন্তব্য করেছেন যে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এটি একটি বড় পদক্ষেপ।
পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া
ওসি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে আদালতে তোলা হবে। রিমান্ডে এনে ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলায় জাপানি হান্নান গ্রেফতার সম্পর্কিত সব তথ্য বের করা হবে। তদন্ত কর্মকর্তারা আশা করছেন, এই জিজ্ঞাসাবাদ থেকে অতীতের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই গ্রেফতার দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নতুন বার্তা দেবে। দীর্ঘদিন পলাতক থাকা এমন একজন সন্ত্রাসীর ধরা পড়া আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দক্ষতার বড় উদাহরণ। অনেকেই মনে করছেন, এ ঘটনা ভবিষ্যতের রাজনৈতিক সহিংসতা রোধে একটি শক্তিশালী বার্তা।
সব দিক বিবেচনায়, ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলায় জাপানি হান্নান গ্রেফতার দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক বড় মোড় ঘোরানো ঘটনা। পুলিশ বলছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা বিস্তারিত জানাতে পারবে না। তবে প্রাথমিক তথ্য থেকে পরিষ্কার যে, এটি শুধুমাত্র একটি সাধারণ গ্রেফতার নয়, বরং ন্যায়বিচারের দিকে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তথ্যসূত্র
♻️ আরো পড়ুন:☞ শেখ হাসিনা পদত্যাগ নয়, বাধ্য হয়ে দেশত্যাগ—আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর বিস্ফোরক দাবি

