📰 আগামী জাতীয় নির্বাচনে তরুণ প্রার্থীদের গুরুত্ব দিতে বিএনপির উচ্চপর্যায়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রার্থী তালিকা চূড়ান্তে তারেক রহমানকে বিশেষ বার্তা পাঠানো হয়েছে।
◾আগামী নির্বাচনে বিএনপি তরুণ নেতৃত্বকে অগ্রাধিকার দিতে চায়। দলের নতুন প্রার্থী তালিকা তৈরির সময় তারেক রহমানের কাছে তরুণদের নিয়ে বিশেষ রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। জানুন বিস্তারিত।
📝 ডেস্ক রিপোর্ট : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তরুণদের ভূমিকা ও তাদের অংশগ্রহণকে সামনে রেখে বিএনপির নতুন প্রার্থী তালিকা নিয়ে দলীয় শীর্ষ পর্যায়ে তৎপরতা বেড়েছে। জানা গেছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে তরুণ প্রার্থীদের বিষয়ে বিস্তারিত একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে, যেখানে তরুণদের বেশি সংখ্যায় মনোনয়ন দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
দলের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, ঢাকায় অনুষ্ঠিত একাধিক বৈঠকের পর ওই বার্তা লন্ডনে থাকা তারেক রহমানের কাছে পাঠানো হয়।
রিপোর্টে বলা হয়—দলটির ৪৫ বছরের দীর্ঘ রাজনীতিতে বহু প্রবীণ নেতা আছেন, যাদের অনেকের বয়স ৭০ ছাড়িয়েছে। তারা এলাকায় সম্মানিত হলেও বর্তমান নির্বাচনী প্রেক্ষাপটে তরুণ ভোটারদের রুচি ও প্রত্যাশা ভিন্ন। ২০০৮ সালের পর যারা প্রথমবার ভোটার হয়েছেন, তারা এখন প্রায় ৩৫ বছর বয়সী তরুণ প্রজন্ম। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ এবার প্রথমবার অংশ নেবে জাতীয় ভোটে।
🔸তরুণ ভোটার এখন বড় ফ্যাক্টর
বিএনপির অভ্যন্তরীণ একাধিক জরিপ অনুযায়ী, দেশের ভোটারদের প্রায় ৬০ শতাংশ এখন তরুণ। এদের প্রায় ২৫ শতাংশ এখনও সিদ্ধান্তহীন, কোন দলের প্রার্থীকে ভোট দেবেন তা স্পষ্ট নয়। দলটির কৌশলবিদরা মনে করছেন, এই ভোটারগোষ্ঠীকে আকৃষ্ট করতে তরুণ প্রার্থীই হতে পারে মূল কৌশল।
ঢাকার প্রেরিত বার্তায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে—তরুণ ভোটাররা তরুণ প্রার্থীদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হতে পারেন, বিশেষ করে যারা মাঠে ত্যাগী এবং দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন।
🔸জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রভাব
রিপোর্টে আরও বলা হয়, জুলাই মাসে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানে তরুণদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও নগরকেন্দ্রিক আন্দোলনে তরুণরাই নেতৃত্ব দিয়েছে।
তবে, সাম্প্রতিক সময়ে অনুষ্ঠিত কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রদলের দুর্বল পারফরম্যান্সও বিএনপি নেতৃত্বের চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে নতুন নেতৃত্ব তৈরির লক্ষ্যেই তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন বলে সুপারিশ করা হয়েছে।
🔸 তারেক রহমানকে পাঠানো বার্তা
বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা থেকে পাঠানো বার্তায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে—
“প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বয়স নয়, প্রভাব, গ্রহণযোগ্যতা ও আন্দোলনকালীন ভূমিকা বিবেচনায় আনতে হবে। প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তা দিয়েও তরুণ প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়া জরুরি।”
দলের নেতারা মনে করছেন, তারেক রহমান যদি তরুণ প্রার্থীদের প্রতি ইতিবাচক অবস্থান নেন, তাহলে দলের মাঠপর্যায়ে নতুন উদ্যম সৃষ্টি হবে। এতে বিএনপির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে তোলার পথও প্রশস্ত হবে।
🔸 জোটে তরুণ দল এনসিপিকে গুরুত্ব
তরুণ নেতৃত্বের বিষয়টি মাথায় রেখে বিএনপি এখন তরুণমুখী দল এনসিপিকে তাদের নির্বাচনি জোটে টানার চেষ্টা করছে।
সূত্র জানায়, প্রাথমিক আলোচনায় বিএনপি ২০টি আসনে ছাড় দিতে পারে এনসিপিকে। দলটির হিসাব অনুযায়ী, ওই ২০ আসনের মধ্যে ৮টিতে জয় সম্ভব যদি বিএনপি পূর্ণ সমর্থন দেয় এবং বিদ্রোহী প্রার্থী না দাঁড়ায়।
তবে বাকি ১২ আসনে জয় পাওয়া কঠিন বলে স্বীকার করেছে বিএনপির নির্বাচনি বিশ্লেষণ কমিটি। কিন্তু তরুণ ভোটারদের মধ্যে ইতিবাচক বার্তা ছড়াতে বিএনপি এ ছাড় দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
🔸ভবিষ্যতের কৌশল
দলের এক শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেন,
“বিএনপিকে এখন তরুণদের দল হিসেবে নিজেকে পুনর্গঠন করতে হবে। শুধু অতীতের রাজনীতিতে আটকে থাকলে ভবিষ্যৎ হারানোর ঝুঁকি আছে।”
আগামী নির্বাচনে তাই তরুণদের ভূমিকা ও বিএনপির নতুন প্রার্থী তালিকা—উভয় বিষয়ই তারেক রহমানের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।
দলীয় সূত্রের মতে, প্রার্থীদের যাচাই-বাছাইয়ের সময় তরুণ ও অভিজ্ঞদের মধ্যে ভারসাম্য আনার বিষয়টি এখন প্রধান আলোচনায় রয়েছে।
🔸বিএনপি অভ্যন্তরীণভাবে বুঝতে পারছে, ভোটের ময়দানে তরুণ ভোটারদের আস্থা অর্জন ছাড়া রাজনৈতিক পুনরুত্থান সম্ভব নয়।
সে কারণেই, দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয় —
“আগামী নির্বাচনে তরুণদের ভূমিকা” এবং “বিএনপির নতুন প্রার্থী তালিকা।”
এই দুটি বিষয়েই এখন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন তারেক রহমান।. তথ্যসূত্র
♻️ আরো পড়ুন:☞ নতুন বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষকদের বেতন কত: ২০২৫ সালের চমকপ্রদ বিস্তারিত

