ভারতের কৃষি ও তেলের নীতিতে অনড় অবস্থান, ট্রাম্প প্রশাসনের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় স্থগিত হলো বাণিজ্য বৈঠক।
📝 ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত। কৃষি ও তেলের বিষয়ে মতভেদে ৫০% শুল্ক চাপাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। বিস্তারিত জানতে পড়ুন।
ডেস্ক রিপোর্ট : ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত: শুল্কের ছোবলে প্রস্তুত ভারত?
নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্ক। সম্প্রতি বার্তা সংস্থা রয়টার্স এবং এনডিটিভি প্রফিটের বরাতে জানা গেছে, আগস্ট ২৫-২৯ তারিখের নির্ধারিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের ভারত সফর বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে ষষ্ঠ দফার বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করা হয়েছে যা দুই দেশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তির জন্য নির্ধারিত ছিল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই স্থগিতকরণ শুধু কূটনৈতিক শীতলতাই নয়, বরং অর্থনৈতিক আঘাতেরও পূর্বাভাস। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের উপরে ৫০% পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছে, যা ২৭ আগস্ট থেকেই কার্যকর হতে পারে।
কেন বাতিল হলো আলোচনা?
মূলত দুটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে দুই দেশের মধ্যে মতভেদ তৈরি হয়েছে:
১. ভারতের কৃষি ও দুগ্ধখাত উন্মুক্ত না করা:
যুক্তরাষ্ট্র চাইছে ভারত তার কৃষি খাত—বিশেষ করে ভুট্টা, সয়াবিন ও তুলোর বাজারে মার্কিন প্রবেশাধিকার দিক। কিন্তু ভারত সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, দেশের কৃষক ও খামারিদের স্বার্থে তারা কোনো আপস করবে না।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিষয়ে বলেছেন,
> “ভারত কখনো কৃষক, মৎস্যজীবী বা খামারিদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না। আমরা জানি, এর জন্য বড় মূল্য দিতে হতে পারে, তবুও আমরা তৈরি।”
২. রাশিয়া থেকে তেল আমদানি:
যুক্তরাষ্ট্র বারবার বলছে, ভারত যেন রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করে। কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,
> “দেশের সাধারণ মানুষের জ্বালানির খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।”
কী হতে পারে প্রভাব?
বাণিজ্য ঘাটতি বাড়বে: শুল্ক আরোপ হলে ভারতের অনেক পণ্যের রপ্তানি কমে যাবে।
মূল্যস্ফীতি বেড়ে যেতে পারে: উচ্চ শুল্কের ফলে আমদানি পণ্যের দাম বাড়বে।
বিনিয়োগে প্রভাব পড়তে পারে: বিদেশি বিনিয়োগকারীরা অনিশ্চয়তা এড়িয়ে অন্য দেশে যেতে পারেন।
ভবিষ্যৎ কী বলছে?
যদিও বর্তমানে আলোচনা বাতিল করা হয়েছে, এনডিটিভি সূত্র বলছে, ষষ্ঠ দফার আলোচনা পুনরায় নির্ধারিত হতে পারে। তবে তার আগে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন কাটাতে হবে।
ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত হওয়া কেবল একটি বৈঠক বাতিল নয়, বরং এটি একটি বৃহৎ ভূরাজনৈতিক সংঘাতের প্রতিচ্ছবি। কৃষক স্বার্থ, জাতীয় নিরাপত্তা, এবং শক্তিশালী কূটনৈতিক অবস্থান—এই তিনটি বিষয়েই ভারত আপসহীন। কিন্তু এর মূল্য কতটা দিতে হবে, তা সময়ই বলে দেবে। তথ্যসূত্র
📰আরো পড়ুন:☞ পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় ৩৪৪ জনের মৃত্যু: মৃত্যুপুরীতে পরিণত খাইবার পাখতুনখোয়া
🌏 আমাদের খবর পড়ুন : www.motherland24.com