ঢাকাWednesday , 27 August 2025
  1. অন্যান্য
  2. অন্যান্য দল
  3. অপরাধ
  4. অর্থনীতি
  5. আ:লীগ
  6. আইন-আদালত
  7. আনন্দ সময়
  8. আন্তর্জাতিক
  9. আমাদের মিডিয়া
  10. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
  11. ইসলামের আলো
  12. এনসিপি
  13. খুলনা বিভাগ
  14. খেলাধুলা
  15. চট্টগ্রাম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মুনিয়া হত্যারহস্য ফাঁস: তৌহিদ আফ্রিদির অন্ধকার গোপনীয়তা ও প্রভাবশালী মহলের চাঞ্চল্যকর ভূমিকা প্রকাশ!

Link Copied!

মুনিয়া হত্যারহস্যের নতুন মোড়—সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও ডিবি কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় তৌহিদ আফ্রিদির প্রতারণা, হুমকি ও ব্ল্যাকমেলের নেপথ্য কাহিনি ফাঁস।

📝 মুনিয়া হত্যারহস্য ফাঁস: তৌহিদ আফ্রিদির প্রতারণা, হুমকি ও প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ঘটনার মোড়। চাঞ্চল্যকর তথ্য পড়ুন বিস্তারিত।

ডেস্ক রিপোর্ট : মুনিয়া হত্যারহস্য ফাঁস: চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ। বাংলাদেশে আলোচিত মুনিয়া হত্যারহস্য আবারও নতুন করে তোলপাড় তুলেছে। কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এসেছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত ‘ক্রাইম এডিশন’ নামের এক ভিডিও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে মুনিয়া হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত নেপথ্য কাহিনি।

তথ্য অনুযায়ী, আফ্রিদি শুধু প্রতারণা ও ব্ল্যাকমেলে লিপ্ত ছিলেন না; তিনি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থেকে অসংখ্য নারীকে শোষণ করতেন। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং ডিসি ডিবি হারুনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রমাণও উঠে এসেছে। এমনকি, এই তিনজনের প্রভাবেই মুনিয়া হত্যার তদন্ত ভিন্ন খাতে চলে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে।

ফাঁস হওয়া ফোনালাপ ও ভয়াবহ হুমকি

ফাঁস হওয়া একাধিক ফোনালাপে মুনিয়া ও আফ্রিদির ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রমাণ মেলে। এক কল রেকর্ডে আফ্রিদি মুনিয়াকে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে হুমকি দিয়ে বলেন, “মুনিয়ার যেরকম অবস্থা হয়েছে, তোমারও সেরকম হবে।” এই কথাটি হত্যার পূর্বাভাস ছিল কিনা তা নিয়ে এখন তদন্ত চলছে।

এ ছাড়া, মুনিয়ার সঙ্গে আফ্রিদির রাতের দেখা করা, মাতাল অবস্থায় সাক্ষাৎ এবং বিয়ের প্রলোভন দেখানোর বিষয়ও উঠে এসেছে। একই সঙ্গে, বেশ কয়েকজন নারী অভিযোগ করেছেন যে, আফ্রিদি তাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে শারীরিক শোষণ করেছেন এবং পরে হুমকি দিয়েছেন ডিবি অফিস থেকে গায়েব করে দেওয়ার।

রাজনৈতিক প্রভাব ও তদন্তে বাঁধা

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আফ্রিদির বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা হয়েছে জুলাই আন্দোলনে হত্যার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে জড়িত থাকার অভিযোগে। অপর একটি মামলা হয়েছে বাড্ডা থানায়, যেখানে উল্লেখ রয়েছে ২০২৪ সালের ২০ জুলাই তিনি অবৈধ অস্ত্র দিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালান।

এই মামলাগুলো প্রমাণ করে, আফ্রিদির কর্মকাণ্ড শুধুমাত্র ব্যক্তিগত পর্যায়ে সীমাবদ্ধ ছিল না; বরং রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে ভয়াবহ অপরাধগুলোকে আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছিল।

মুনিয়া হত্যার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনের পথে?

বর্তমানে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও নতুন করে তৎপর হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, মুনিয়া হত্যারহস্য উদ্ঘাটনে আফ্রিদির ফোনালাপ, সম্পর্ক ও প্রভাবশালী মহলের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

অনেকেই আশঙ্কা করছেন, যদি এ মামলার সঠিক বিচার না হয়, তাহলে বাংলাদেশে বিচার ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা আরও কমে যাবে। তথ্যসূত্র

 

📰আরো পড়ুন:☞ রাজধানীতে সব বাস একক ব্যবস্থায়: জ্যাম ও প্রতারণা কমাতে বড় পদক্ষেপ!

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি। আমাদের ওয়েবসাইট- www.motherland24.com