ঢাকাTuesday , 26 August 2025
  1. অন্যান্য
  2. অন্যান্য দল
  3. অপরাধ
  4. অর্থনীতি
  5. আ:লীগ
  6. আইন-আদালত
  7. আনন্দ সময়
  8. আন্তর্জাতিক
  9. আমাদের মিডিয়া
  10. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
  11. ইসলামের আলো
  12. এনসিপি
  13. খুলনা বিভাগ
  14. খেলাধুলা
  15. চট্টগ্রাম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শাহজালালে নারী যাত্রীর লাগেজ থেকে ১৩০ কোটি টাকার কোকেন জব্দ: ভয়াবহ মাদক চক্রের চাঞ্চল্যকর উন্মোচন

Link Copied!

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৮.৬৬ কেজি কোকেনসহ বিদেশি নারী আটক, যার বাজারমূল্য প্রায় ১৩০ কোটি টাকা। কাস্টমস গোয়েন্দারা বলছেন, এটি সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম বড় মাদকচক্রের চালান।

📝 হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নারী যাত্রীর লাগেজ থেকে ৮.৬৬ কেজি কোকেন জব্দ, বাজারমূল্য প্রায় ১৩০ কোটি টাকা। বিস্তারিত জানুন এই ভয়াবহ মাদকচক্রের চাঞ্চল্যকর ঘটনা।

ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নারী যাত্রীর লাগেজ থেকে ৮.৬৬ কেজি কোকেন জব্দ করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। সোমবার (২৫ আগস্ট) রাত আড়াইটার দিকে কাতার এয়ারওয়েজের কিউআর৬৩৮ ফ্লাইটে দোহা থেকে ঢাকায় আসা বিদেশি নারী কারেন পেতুলা স্টাফল-এর লাগেজ থেকে তিনটি প্লাস্টিকের জারে লুকানো ২২ পিস ডিম্বাকৃতির ফয়েল মোড়ানো কোকেন উদ্ধার হয়। এই মাদকের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১৩০ কোটি টাকা।

কিভাবে ধরা পড়ল এই চাঞ্চল্যকর কোকেন চালান?

কাস্টমস গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দারা ফ্লাইট অবতরণের পর ওই যাত্রীর গতিবিধি নজরে রাখেন। ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর গ্রিন চ্যানেলে এনে ব্যাগেজ স্ক্যান করলে সন্দেহজনক তিনটি প্লাস্টিকের জার পাওয়া যায়। পরে খোলার পর কোকেনের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রাথমিক পরীক্ষায়ও কোকেন প্রমাণিত হয়।

আটক নারী যাত্রীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা

ওই নারীকে পণ্যসহ কাস্টমস হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ফৌজদারি মামলা এবং কাস্টমস আইনে বিভাগীয় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। গোয়েন্দারা ধারণা করছেন, আন্তর্জাতিক মাদকচক্র বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করছে।

সাম্প্রতিক সময়ে বাড়ছে বিমানবন্দর হয়ে মাদক পাচার

শুধু শাহজালাল বিমানবন্দর নয়, দেশের অন্যান্য প্রবেশপথেও মাদক পাচারের হার বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে মাদক পাচারের অন্যতম রুট হলো মধ্যপ্রাচ্য–বাংলাদেশ–দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। সম্প্রতি একাধিক চালান আটক হওয়ায় বোঝা যাচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন আরো কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

সরকারের কড়া অবস্থান: মাদকের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা

বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে মাদক নিয়ন্ত্রণে শূন্য সহনশীলতার ঘোষণা দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, “কোনো মাদকচক্রকে ছাড় দেওয়া হবে না।” শাহজালালে নারী যাত্রীর লাগেজ থেকে ১৩০ কোটি টাকার কোকেন জব্দের ঘটনায়ও তারা দ্রুত তদন্ত শুরু করেছে।

এই ধরনের অপরাধ ঠেকাতে করণীয় কী?

নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যাত্রীদের লাগেজ স্ক্যানিং আরও আধুনিক করা, আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় বাড়ানো এবং সীমান্তে কঠোর নজরদারি চালানোই হতে পারে মাদক পাচার প্রতিরোধের মূল উপায়। তথ্যসূত্র

📰আরো পড়ুন:☞ তৌহিদ আফ্রিদি ক্যানসারে আক্রান্ত: আদালতে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ, জামিন নামঞ্জুর ও পাঁচ দিনের রিমান্ড

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি। আমাদের ওয়েবসাইট- www.motherland24.com