“ফেব্রুয়ারিতে রমজানের আগেই ভোটের প্রস্তুতি – কেন্দ্র দখলে শূন্য সহনশীলতা ঘোষণা করলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার”
📝 “নির্বাচনে আ.লীগের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ! সিইসি নাসির উদ্দিন জানালেন, বিচার চলাকালে আওয়ামী লীগ ভোটে অংশ নিতে পারবে না। ফেব্রুয়ারিতে রমজানের আগেই নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে।“
ডেস্ক রিপোর্ট : নির্বাচনে আ.লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে বড় ধরনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, বর্তমানে বিচারাধীন হওয়ায় আওয়ামী লীগ (আ.লীগ) কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে পারছে না এবং এই পরিস্থিতিতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। শনিবার (২৩ আগস্ট) রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ বক্তব্য দেন।
নির্বাচনে আ.লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে সিইসির স্পষ্ট বার্তা
সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, “আ.লীগের বিচার চলছে। তাদের কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নেই। তাই বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে আ.লীগের অংশগ্রহণ সম্ভব নয়। দেখা যাক বিচারে কী হয়।” এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে আসন্ন নির্বাচনে দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিয়ে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হলো।
ফেব্রুয়ারিতে রমজানের আগে নির্বাচনের প্রস্তুতি
তিনি আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারিতে রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের জোর প্রস্তুতি চলছে। নাসির উদ্দিন বলেন, “কোনো কেন্দ্র দখল হলে পুরো কেন্দ্রের ভোট বাতিল করা হবে। যারা বাক্স দখলের স্বপ্ন দেখছেন তাদের স্বপ্ন ভঙ্গ হবে। ভোটকেন্দ্র দখলের ইতিহাস ভুলে যান।”
কেন্দ্র দখলে শূন্য সহনশীলতা
নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য তিনি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের পদায়নে বিশেষ নজরদারির কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এর আগে যারা এ ধরনের কাজে ছিলেন, তাদের পদায়নের কোনো চিন্তা নেই। এ বার নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ।”
পিআর পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক
নির্বাচনে আনুপাতিক পদ্ধতি (পিআর সিস্টেম) নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সংবিধানে এ ধরনের নির্বাচন ব্যবস্থা নেই। এর বাইরে আমরা যেতে পারি না। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছে, তবে আমি এর মধ্যে ঢুকতে চাই না।”
নির্বাচনে আ.লীগের অনুপস্থিতির সম্ভাবনা – রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদি নির্বাচনে আ.লীগের অংশগ্রহণ না থাকে, তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে। বহু আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কমে গিয়ে ভোটের প্রতিযোগিতা একপাক্ষিক হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
ভোটারদের বার্তা
সিইসি শেষবারের মতো ভোটারদের উদ্দেশে বার্তা দেন: “আমরা চাই, জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে আসুক। তাদের ভোটের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবো।” তথ্যসূত্র
📰আরো পড়ুন:☞ মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: বিমান দুর্ঘটনায় আরেক শিক্ষার্থীর হৃদয়বিদারক মৃত্যু