সিন্ডিকেটের স্বার্থে পথ আটকে রাখা হলো জরুরি অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসা না পেয়ে অকালে প্রাণ গেল নবজাতকের
📝 অ্যাম্বুলেন্স আটকানোয় নবজাতকের মৃত্যু ঘটেছে ৪০ মিনিটের অবরোধে। সিন্ডিকেটের কবলে আটকে জরুরি চিকিৎসা বঞ্চিত হয়ে হৃদয়বিদারক এই ঘটনা ঘটেছে। বিস্তারিত পড়ুন।
ডেস্ক রিপোর্ট: অ্যাম্বুলেন্স আটকানোয় নবজাতকের মৃত্যু—এই হৃদয়বিদারক সংবাদে আজ শোক ও ক্ষোভে ফেটে পড়েছে সারাদেশ। জানা গেছে, ৪০ মিনিট ধরে একটি জরুরি অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের কবলে আটকে থাকে। ভেতরে নিথর হয়ে পড়ে ছিল এক নবজাতক, যার শ্বাস নিতে চিকিৎসকের তৎপরতা ছিল একমাত্র ভরসা। কিন্তু মানবিকতার সমস্ত সীমানা ভেঙে এই অবরোধ কেড়ে নেয় তার প্রাণ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটে শরিয়তপুর সদরের নিউ মেট্রো ক্লিনিকের সামনে, যেখানে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি তাদের স্বার্থে সড়ক অবরোধ করে রাখে। অ্যাম্বুলেন্স চালক বারবার অনুরোধ করলেও কেউ কর্ণপাত করেনি। চারপাশে উপস্থিত মানুষ অসহায়ভাবে তাকিয়ে ছিল, কিন্তু সিন্ডিকেটের শক্তি ভাঙতে পারেনি কেউ।
পরিবারের সদস্যদের মতে, শিশুটি জন্মের কিছুক্ষণ পর শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকে। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও, অবরোধের কারণে ৪০ মিনিটেরও বেশি সময় রাস্তা বন্ধ থাকে। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই শিশুটি মারা যায়।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, অ্যাম্বুলেন্স আটকানোয় নবজাতকের মৃত্যু শুধু একটি দুর্ঘটনা নয়, বরং এটি অমানবিকতা ও আইনের শাসনের ভয়াবহ ব্যর্থতা। তারা অবিলম্বে জড়িতদের শনাক্ত করে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে স্থানীয়দের আশঙ্কা, সিন্ডিকেটের প্রভাবের কারণে ন্যায়বিচার পাওয়া কঠিন হবে।
এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে। হাজারো মানুষ শোক প্রকাশের পাশাপাশি প্রশ্ন তুলছেন—মানবিক সেবা যখন ব্যবসায়িক বা রাজনৈতিক স্বার্থে বন্দি হয়ে পড়ে, তখন তার পরিণতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে।
অ্যাম্বুলেন্স আটকানোয় নবজাতকের মৃত্যু শুধু একটি পরিবারকে নয়, পুরো জাতিকে কাঁদিয়েছে। এই ঘটনা মানবিকতার প্রতি এক করুণ আঘাত, যা আমাদের আইন, সমাজ ও বিবেক—সবকিছুর কাছে জবাব দাবি করে। তথ্যসূত্র
📰আরো পড়ুন:☞ শমী কায়সার জামিন: কাশিমপুর কারাগার থেকে নাটকীয় মুক্তি, ভক্তদের আবেগঘন প্রতিক্রিয়া
🌏 আমাদের খবর পড়ুন : www.motherland24.com