📝 তীব্র আন্দোলনের মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন আবাসিক হলগুলোতে প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টা ৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ এ ঘোষণা দেন।
এর মাধ্যমে গত বছরের ১৭ জুলাই ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সেটি বহাল রাখা হলো। প্রক্টর জানান, “গত বছরের ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী গুপ্ত ও প্রকাশ্য হল রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।” সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর সাধারণ শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে হলে ফিরে যান।
এর আগে, শুক্রবার বিকেল থেকে রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের হল ইউনিটসমূহের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করেন। উল্লেখযোগ্য যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। সন্ধ্যার পর বিক্ষোভের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং মধ্যরাতের পর তা ক্যাম্পাসজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
রাত ১২টার পর বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হন। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা। রাজনীতিবিরোধী নানা স্লোগান দেন এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব হল কমিটি বিলুপ্তসহ ছয় দফা দাবি পেশ করেন।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো:
১. কেন কমিটি দেওয়া হলো, উপাচার্যকে জবাব দিতে হবে।
২. ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রদল, শিবির, বাগছাস, বামসহ সব গুপ্ত কমিটি বিলুপ্ত করতে হবে।
৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও হল এলাকায় রাজনীতির সকল কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে ছাত্ররাজনীতির পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা দিতে হবে।
৪. অবিলম্বে সব হল কমিটি বিলুপ্ত করতে হবে।
৫. হল প্রভোস্টদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে হবে।
৬. দ্রুত ডাকসু (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) বাস্তবায়ন করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বস্তি ও সন্তুষ্টি এনে দিয়েছে। অনেকের মতে, এ সিদ্ধান্ত ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে। তথ্যসূত্র
📰আরো পড়ুন:☞ রাতের মধ্যে কমিটি স্থগিত না হলে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিলেন উমামা ফাতেমা