📝 নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হুসেইন গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলা।
গত ৫ আগস্টের পর থেকেই তাকে প্রকাশ্যে দেখা না গেলেও, সরকার পরিবর্তনের পর তার অবস্থান নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা তৈরি হয়েছিল। অবশেষে বিবিসির প্রতিবেদনে তার বর্তমান অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে।
বিবিসি বাংলার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, সাদ্দাম হুসেইন ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ভারতে রয়েছেন। নিজেই সংবাদমাধ্যমটিকে নিশ্চিত করে তিনি বলেন, “গত এক বছর ধরে ক্যাম্পাসটা খুব মিস করি। দেশে থাকলেও যে ক্যাম্পাসে যেতে পারতাম তা নয়।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, হাজার হাজার ছাত্রলীগ কর্মী-সমর্থক দেশে থেকেও দীর্ঘ এক বছর ধরে ক্যাম্পাসে যেতে পারছেন না। তাদের ক্লাসে অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না, পরীক্ষা দিতে দেওয়া হচ্ছে না, এমনকি পাশ করলেও সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে না। এতে শিক্ষাজীবন কার্যত শেষ হয়ে যাচ্ছে বহু শিক্ষার্থীর।
সাদ্দামের দাবি, এ পরিস্থিতি শুধু ছাত্রলীগ কর্মীদের ক্ষেত্রেই নয়, বরং আওয়ামী লীগ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী পরিবারের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি এইচএসসি পরীক্ষার্থীরাও রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, “এটা শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সীমাবদ্ধ নয়। বহু শিক্ষার্থী তাদের রাজনৈতিক বা পারিবারিক পরিচয়ের কারণে অন্যায্যভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন, যা একটি প্রজন্মকে শিক্ষার বাইরে ঠেলে দিচ্ছে।”
এদিকে, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইনান সম্পর্কে কোনো তথ্য বা হদিস বিবিসির প্রতিবেদনে পাওয়া যায়নি। ফলে সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের বর্তমান অবস্থা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়ে গেছে।
এ খবর প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই এ ধরনের রাজনৈতিক বৈষম্য ও শিক্ষাবঞ্চনার নিন্দা জানাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে শিক্ষা অধিকার হরণ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদেরও লঙ্ঘন।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সাদ্দাম হুসেইনের অবস্থান ও তার মন্তব্য নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। পরিস্থিতি কীভাবে পরিবর্তিত হবে, তা সময়ই বলে দেবে। তথ্যসূত্র