📝 গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার নেপথ্যে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ দাবি করেছে, তুহিনকে খুন করা হয় মূলত মোবাইলে ভিডিও ধারণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ উত্তর) মো. রবিউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এটি চাঁদাবাজি নয়; বরং বাদশা নামের এক ব্যক্তির ওপর হামলার ঘটনাই হত্যার সূত্রপাত।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাতে গাজীপুরের চৌরাস্তা এলাকার মসজিদ মার্কেটের সামনে সাংবাদিক তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় পায়। পরে তদন্তের স্বার্থে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করা হয়।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, এক নারী রাস্তায় এক পুরুষের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ওই পুরুষ ওই নারীকে আঘাত করেন। এরপর ওই নারীর পরিচিত ৪-৫ জন চাপাতি নিয়ে এসে পুরুষটির ওপর হামলা চালান। পরে জানা যায়, ওই পুরুষের নাম বাদশা মিয়া এবং তিনি জয়দেবপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে, বাদশার ওপর এই হামলার ভিডিও সাংবাদিক তুহিন তার মোবাইলে ধারণ করেছিলেন। এরপর হামলাকারীরা তুহিনকে ভিডিও মুছে ফেলতে চাপ দেন। কিন্তু তুহিন ভিডিও ডিলিট করতে রাজি না হওয়ায় এবং বিষয়টি অস্বীকার করায় ঘটনাস্থলেই তার ওপর হামলা চালানো হয়। এতে তিনি গুরুতর জখম হন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান।
অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার রবিউল ইসলাম জানান, প্রাথমিক তদন্তে একজন নারীকে কেন্দ্র করে প্রথমে হামলা এবং পরে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত অন্য কোনো কারণ সামনে আসেনি। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনাটি গাজীপুরে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। অনেকেই দ্রুত বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তথ্যসূত্র
📰আরো পড়ুন:☞ নির্বাচনে গণমাধ্যমসহ সবার ড্রোন ও এআই ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা: ইসির নতুন আচরণবিধি চূড়ান্ত ☞ ফেসবুকে চাঁদাবাজির ভিডিও প্রকাশের পর সাংবাদিক তুহিনকে গ/লা কেটে হ/ত্যা, পাথর দিয়ে পা থে/ত/লে দেওয়া হলো আরেক সাংবাদিকের