📝 আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণমাধ্যমসহ কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা প্রার্থী ড্রোন বা কোয়ার্ডকপ্টার উড়াতে পারবেন না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
পাশাপাশি রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর জন্য এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) ব্যবহারের ওপরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য চিঠি দিয়েছেন। আজকের বৈঠকে বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, ভোটের তারিখের দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে। সেই হিসেবে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এআই ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার কারণ ব্যাখ্যা করে সানাউল্লাহ বলেন, “সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মিসইনফরমেশন, ডিসইনফরমেশন ও ম্যালইনফরমেশন। বিশেষ করে ডিসইনফরমেশন এখন এআই ব্যবহার করে বেশি হচ্ছে। যেমন—কারও ভয়েস ক্লোন করে ভুয়া বক্তব্য ছড়ানো, মিথ্যা ভিডিও বা অডিও-ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট তৈরি করা, যা মূলত হেয় করার উদ্দেশ্যে করা হয়।”
তিনি আরও জানান, প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের জন্য আচরণবিধি চূড়ান্ত করা হয়েছে, যেখানে এআই’র অপব্যবহার প্রতিরোধের জন্য বিশেষ ধারা যোগ করা হয়েছে। এছাড়া এআই ব্যবহারের মাধ্যমে ভুয়া কনটেন্ট তৈরির বিষয়টি মনিটর করতে একটি বিশেষ কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
ড্রোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কোনো প্রার্থী, তার এজেন্ট বা গণমাধ্যম ড্রোন ব্যবহার করতে পারবে না। কারণ কোনটা গণমাধ্যমের এবং কোনটা নয়, তা চিহ্নিত করা কঠিন। নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত।”
এদিকে ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়েও আলোচনা চলছে বলে জানান সানাউল্লাহ, তবে এটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
নির্বাচন ঘিরে এ ধরনের কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর হলে ভুয়া তথ্য প্রচার ও অনৈতিক প্রচারণা প্রতিরোধে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু ও নিরাপদ রাখতে ড্রোন এবং এআই ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ ভোট প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তথ্যসূত্র
📰আরো পড়ুন:☞ কক্সবাজার সফরকে ঘিরে গোয়েন্দা সংস্থা ও মিডিয়ার সম্মিলিত অপপ্রচারের অভিযোগ হাসনাত আব্দুল্লাহর