📝 চট্টগ্রাম নগরের ব্যস্ততম বায়েজিদ বোস্তামী সড়কে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টার দিকে ভয়াবহ এক দুর্ঘটনা ঘটে। অক্সিজেন এলাকার স্টার শিপ গলির শীতল ঝরনা খালের ওপর নির্মিত পুরোনো একটি সেতু ভেঙে দুই ভাগ হয়ে গেছে। এতে নগরের গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে যান চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৮০ সালের দিকে নির্মিত ইটের তৈরি এ সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ এবং অসংখ্য যানবাহন যাতায়াত করে। এটি ২ নম্বর গেট থেকে অক্সিজেনমুখী অংশে অবস্থিত। সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর একটি পাশ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে, আরেক পাশ দিয়ে সীমিত পরিসরে গাড়ি চলাচল করছে। এর ফলে এলাকায় ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে এবং জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান জানান, “সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় অনেক আগেই সংস্কারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। পাঁচ কোটি টাকার প্রাক্কলন করে দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া চলছে। অতি দ্রুত সংস্কারকাজ শুরু করা হবে।”
তিনি আরও জানান, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় শীতল ঝরনা খাল সম্প্রসারণ করা হলেও সেতুটি আগের অবস্থায়ই ছিল। খালে পানিপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে সেতুর দুই পাশের মাটি ধসে পড়ে এবং কাঠামো দুর্বল হয়ে যায়। আজ ভোরে টানা ভারী বৃষ্টির চাপে সেতুটি সম্পূর্ণভাবে ভেঙে যায়।
ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত বায়েজিদ বোস্তামী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামসুল ইসলাম বলেন, “সকাল ছয়টার দিকে সেতুটি ভেঙে পড়ে। আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক পাশের গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিই এবং অন্য পাশ দিয়ে সীমিতভাবে গাড়ি চলাচল নিশ্চিত করি। তবে এই পাশটিও ঝুঁকিপূর্ণ, যেকোনো সময় বিপদ ঘটতে পারে।”
সড়কটিতে প্রতিদিন বহু গার্মেন্টস কর্মী, শিক্ষার্থী ও সাধারণ যাত্রী চলাচল করেন। তাই এই গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
মোটরসাইকেল আরোহী বেলায়েত হোসেন বলেন, “জরুরি কাজে বেরিয়ে মাঝপথে এসে দেখি সেতু ভেঙে গেছে। চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছি। দ্রুত সংস্কার না হলে আগামীতে আরও বড় বিপর্যয় হতে পারে।”
চট্টগ্রাম নগরের একাংশে বর্তমানে যাতায়াতে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত সংস্কারকাজ শুরু না করলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তথ্যসূত্র
📰আরো পড়ুন:☞ হিরো আলমকে তালাক দিলেন রিয়া মনি, কক্সবাজারে অভির সঙ্গে থাকার অভিযোগে তোলপাড়