📝 নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ঘটে গেল এক হৃদয়বিদারক সড়ক দুর্ঘটনা। প্রবাস ফেরত বাহার উদ্দিনের স্বপ্নময় প্রত্যাবর্তন মুহূর্তেই রূপ নিল চরম দুঃস্বপ্নে।
বিমানবন্দরে মেয়ে মীমকে প্রথমবারের মতো কোলে নিয়েই আদর করেছিলেন বাহার। কে জানতো, এটাই হবে শেষবারের মতো মেয়েকে কোলে নেওয়া।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে ওমান থেকে দেশে ফেরেন বাহার উদ্দিন। পরিবারের সদস্যরা তাকে আনতে ঢাকা যান। ফেরার পথে মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে প্রাণ হারান বাহারের স্ত্রী, সন্তানসহ একই পরিবারের সাতজন সদস্য।
দুর্ঘটনাটি ঘটে বুধবার (৬ আগস্ট) ভোরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজারের অদূরে লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে। জানা যায়, চালক রাসেল ঘুমিয়ে পড়ার ফলে গাড়িটি ৩০ মিটার গভীর একটি খালে পড়ে। হতাহতদের অনেকেই পানিতে আটকে পড়লেও চালক পালিয়ে যান। প্রবাসী বাহার নিজে কোনোভাবে বের হলেও তার স্ত্রী কবিতা আক্তার ও দুই বছর বয়সী মেয়ে মীমকে উদ্ধার করতে পারেননি। একইভাবে প্রাণ হারান তার মা, নানি, ভাতিজি এবং বড় ভাইয়ের স্ত্রী।
নিহতদের নাম: কবিতা আক্তার (২৪), মীম আক্তার (২), মুরশিদা বেগম (৫০), ফয়জুন নেছা (৭০), রেশমা আক্তার (৯), লামিয়া আক্তার (৮) ও লাবনী আক্তার (২৫)। সবাই লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
বাহার উদ্দিন জানান, তিনি চালককে বারবার বিশ্রাম নেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু চালক রাসেল কোনো কর্ণপাত না করে চালিয়ে যান। দুর্ঘটনার পর তিনি পালিয়ে যান এবং গাড়ির দরজা খুলতেও সহযোগিতা করেননি।
স্থানীয়দের মতে, এমন মর্মান্তিক ঘটনা আগে কখনো তাদের এলাকায় ঘটেনি। শোকাহত পরিবার ও আশপাশের মানুষ আজও বিশ্বাস করতে পারছেন না যে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে একটি পুরো পরিবার প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।🔎তথ্যসূত্র
📰আরো পড়ুন👉◾প্রবাসীকে আনতে গিয়ে সড়কে প্রাণ গেল একই পরিবারের ৭ জনের