📰 চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার সন্দীপ কলোনিতে এক হৃদয়বিদারক ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। অষ্টম শ্রেণির এক কিশোরীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে বিয়ে করার অভিযোগে সালিশ বৈঠকে বসলে, সেই মেয়ের বাবাকে পি/টি/য়ে হ/ত্যা করা হয়। শনিবার (২ আগস্ট) ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়।
নিহত ব্যক্তি ফখরুল ইসলাম (৫৮), সন্দীপ কলোনির বাসিন্দা ও ফয়জল মাওলার ছেলে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নুর আলম (৪২) ও মো. মুসলিম (৪৫) নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
থানা সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ জুলাই বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে ১৪ বছর বয়সী ছাত্রীকে জোর করে অপহরণ করে নোয়াখালীর সুবর্ণচরের যুবক রিফাত (২২), যিনি একজন নির্মাণ শ্রমিক। তার খালার বাড়ি সন্দীপ কলোনিতে। অপহরণের সময় রিফাতের সঙ্গে ছিল জাহিদ, বাদল, রিপন ও আব্দুর রহমান। মেয়েটিকে জোরপূর্বক বিয়ের রেজিস্টারে সই করানো হয়। পরবর্তীতে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
এই ঘটনার মীমাংসার জন্য শুক্রবার রাতে আমতলী সন্দীপ কলোনিতে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিশ চলাকালে ছেলে ও মেয়ে পক্ষের মধ্যে তীব্র হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে মেয়ের বাবা ফখরুল ইসলামকে ইট ও পাইপ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে ছেলে পক্ষের লোকজন। ঘটনাস্থলেই তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাটহাজারী মডেল থানার উপপরিদর্শক ইমরান জানান, সালিশ বৈঠকের সময় সংঘটিত মারামারিতে ফখরুল ইসলাম নিহত হন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং তদন্ত চলমান।◾