📰 অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের আড়ালে প্রায় ৩৪ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ওটাম লুপ অ্যাপারেলস লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওয়াসিউর রহমান (৫০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডির গণমাধ্যম শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, বুধবার (৩০ জুলাই) রাতে রাজধানীর মধ্যবাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকা থেকে ওয়াসিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, জনতা ব্যাংকের মতিঝিল দিলকুশা শাখা থেকে প্রতিষ্ঠানটি তিনটি এলসি/সেলস কন্ট্রাক্ট গ্রহণ করে। ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়কালে প্রতিষ্ঠানটি পণ্য রপ্তানির নামে এই অর্থ পাচার করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, রপ্তানির চার মাসের মধ্যে অর্থ ফেরত আনার বাধ্যবাধকতা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি তা মানেনি।
সিআইডির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতিষ্ঠানটি ইচ্ছাকৃতভাবে রপ্তানি মূল্য দেশে ফেরত না এনে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী অর্থ পাচার করেছে। এমডি ওয়াসিউর রহমান ও অন্যান্য আসামিরা পরিকল্পিতভাবে স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে এই অর্থ বিদেশে পাচার করেন।
ঘটনার প্রেক্ষিতে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করা হয়েছে। মামলার তদন্ত করছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। গ্রেপ্তার ওয়াসিউর রহমানকে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হয় এবং রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
এদিকে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত চলছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি আত্মীয়স্বজনদের নামে একাধিক প্রতিষ্ঠান খুলে বিদেশে অর্থ পাচারের সুযোগ তৈরি করেছেন।
তদন্তে গ্রেপ্তারকৃত ওয়াসিউর রহমানসহ সংশ্লিষ্টদের বিদেশে অবৈধ সম্পদ রয়েছে কি না, তা নিয়েও অনুসন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।◾