✒️২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা থাকলেও বিএনপি ৫ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের মতে, নির্বাচন কমিশনকে নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে—রোজার এক সপ্তাহ আগেই নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে। সেই নির্দেশনার অপেক্ষায় আছে বিএনপি।
সম্প্রতি লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনার কথা উঠে আসে। তবে প্রধান উপদেষ্টা বা কমিশনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক মনে করেন, “এখন জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন। এতে করে সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে যে সন্দেহ-সংশয় সৃষ্টি হয়েছে, তা দূর হবে।”
অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ জানান, দেশে এখনো নির্বাচন অনুষ্ঠানের উপযোগী পরিবেশ তৈরি হয়নি। তিনি বলেন, “সরকার বলেছে সেরা নির্বাচন দেবে। কিন্তু সেই নির্বাচনের জন্য সেরা পরিবেশও থাকতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে তা সম্ভব নয়।”
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়েও অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। বিএনপি ও জামায়াতের মতে, বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন বিতর্কিত ব্যক্তি সরকারের নিরপেক্ষতার ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। বিএনপির দাবিতে, এমন ব্যক্তিদের যথাসময়ে সরিয়ে দেওয়া উচিত।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “নতুন গঠিত একটি দলের দুইজন প্রতিনিধি এখনো উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছে। জনগণ অধ্যাপক ইউনূসকে নিরপেক্ষ মনে করে না। তাই আমরা নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে কিছু পদক্ষেপের প্রত্যাশা করছি।”
জামায়াত নেতা হামিদুর রহমান আযাদ এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হকও উপদেষ্টা পরিষদের পুনর্গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তাদের মতে, নির্বাচনকালীন সরকারকে কার্যত একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে গঠন করতে হবে, যাতে তা নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে পারে।
রাজনৈতিক দলগুলোর অভিমত, জুলাই সনদ ও অতীত গণহত্যার বিচারে ইতিবাচক অগ্রগতি সত্ত্বেও নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময়সূচি ঘোষণা না হওয়ায় আস্থার সংকট তৈরি হচ্ছে। এই সংকট নিরসনে দ্রুত ও সুস্পষ্ট ঘোষণা জরুরি বলেই মনে করছেন তারা।🔳