📰 দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মানোন্নয়নে বড় ধরনের পরিবর্তনের দিকে যাচ্ছে সরকার। অতিরিক্ত ছুটি ও হঠাৎ বন্ধের কারণে পাঠদানে ঘাটতি হচ্ছে—এমন বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে ২০২৬ সাল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বছরে গড়ে প্রায় ৭৬ দিন বার্ষিক ছুটি থাকে। তবে সরকার এই ছুটি ১৬ থেকে ২০ দিন কমিয়ে ৫৬-৬০ দিনে নামিয়ে আনতে চায়। যদিও সপ্তাহের শনিবারের ছুটি আপাতত বহাল থাকবে, তবে ছুটির সময় কমিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে নিয়মিত রাখার পরিকল্পনা করছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো।
সম্প্রতি দুটি মন্ত্রণালয়ের একটি যৌথসভায় বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আলোচনা হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এই প্রস্তাব দিলেও, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এখনো চূড়ান্ত মত দেয়নি। তবে সব দপ্তরের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ছুটির কোনো পরিবর্তন আসছে না। পরিবর্তনটি ২০২৬ সালের শিক্ষাপঞ্জিতে কার্যকর হতে পারে। বর্তমানে বছরে প্রায় ৭৬ দিনের বার্ষিক ছুটি ও ৫২-৫৩ দিন সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে প্রায় ১৩০ দিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকে। এর সঙ্গে নানা কারণে হঠাৎ বন্ধ মিলে পাঠদানে বড় ধরনের ঘাটতি সৃষ্টি হয়।
এছাড়াও সরকার কর্মঘণ্টা বৃদ্ধির বিষয়েও চিন্তা-ভাবনা করছে। কারণ দেশের অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয় দুই শিফটে পরিচালিত হয়, যেখানে শেখার সময় তুলনামূলকভাবে কম। এজন্য সরকারি পরামর্শক কমিটি কর্মঘণ্টা বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত ছুটি শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি ও পাঠগ্রহণে ব্যাঘাত ঘটায়। এতে তারা পরবর্তী শ্রেণিতে অপ্রস্তুতভাবে উত্তীর্ণ হয়, যা শিক্ষার মানে প্রভাব ফেলে। সেই জায়গা থেকে এই ছুটি কমানোর উদ্যোগ সময়োপযোগী।
এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে, শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং পাঠ্যক্রম সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।🚦
🔎তথ্যসূত্র: কালের কন্ঠ
➡️আরো পড়ুন🔻
◾মাইলস্টোনের শিক্ষার্থীরা এই ট্রমা কাটিয়ে উঠবে কীভাবে