এনসিপি’র কর্মসূচি ঘিরে গোপালগঞ্জে সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গতকাল বিকালে অন্তর্বর্তী সরকারের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয় এই হামলা নিন্দনীয় ও অমার্জনীয়। বিবৃতিতে বলা হয়, গোপালগঞ্জে যে সহিংসতা সংঘটিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণরূপে নিন্দনীয় ও অমার্জনীয়। শান্তিপূর্ণভাবে এক বছর আগের বিপ্লবী আন্দোলনের বার্ষিকী পালন করতে আসা তরুণ নাগরিকদের ওপর এমন হামলা তাদের মৌলিক অধিকার হরণের শামিল। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য, পুলিশ এবং সাংবাদিকরা আজ নির্মমভাবে হামলার শিকার হয়েছেন। তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং শারীরিকভাবে আঘাত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই বর্বরোচিত হামলা, যা নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ছাত্রলীগ ও দলীয় কর্মীদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার জবাবদিহি অবশ্যই নিশ্চিত করা হবে। হামলাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের ওপর এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা সেনাবাহিনী ও পুলিশের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের প্রশংসা জানাই এবং সেইসঙ্গে সাহসী ছাত্রদের অবিচলতা ও দৃঢ় মনোবলের জন্য অভিবাদন জানাই, যারা সব হুমকি উপেক্ষা করে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ চালিয়ে গেছেন।
এই বর্বরতার জন্য যারা দায়ী, তাদের বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে। বাংলাদেশের মাটিতে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। ন্যায়বিচার অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে- এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি।