📝 ঢাকাই শোবিজের আলোচিত মডেল ও অভিনেত্রী সানাই মাহবুব তার স্বামী আবু সালেহ মুসার বিরুদ্ধে যৌতুক ও দেহ ব্যবসায় জড়াতে চাওয়ার অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেছেন।
মামলায় তিনি অভিযোগ করেছেন, চাহিদামতো ২২ লাখ টাকা যৌতুক না পেয়ে তার স্বামী শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়েছেন এবং তাকে দেহ ব্যবসায় নামাতে বাধ্য করার চেষ্টা করেন।
সানাই মাহবুবের আইনজীবী মিঠুন সাহা জানান, আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযুক্ত আবু সালেহ মুসার বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৭ মে আবু সালেহ মুসাকে বিয়ে করেন সানাই। বিয়ের সময় কনের পরিবার থেকে আসবাবপত্র ও ১৫ ভরি স্বর্ণ দেওয়া হয়, যা বর্তমানে আসামির হেফাজতে রয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ব্যবসা করার কথা বলে সানাই মাহবুবের কাছে অর্থ দাবি করেন মুসা। নিজের সঞ্চয় থেকে ১২ লাখ এবং বাবার কাছ থেকে আরও ৭ লাখ টাকা দিয়ে মোট ১৯ লাখ টাকা দেন সানাই। পরে সেই অর্থ অপচয় করে মুসা পুনরায় ২২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। তা দিতে অস্বীকার করলে তিনি স্ত্রীকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন শুরু করেন।
এছাড়াও, মুসা তার স্ত্রীকে ব্যক্তিগত ঋণ শোধের জন্য দেহ ব্যবসায় নামানোর চেষ্টা করেন। অভিযোগে আরও উল্লেখ রয়েছে, ২০২3 সালের ১৫ সেপ্টেম্বর শারীরিক নির্যাতনের পর মুসা বাসা ছেড়ে চলে যান এবং জানান, দাবিকৃত অর্থ না পেলে তিনি সংসার করবেন না।
পরবর্তীতে ১২ মে সানাইয়ের আফতাবনগরের বাসায় এসে পুনরায় ২২ লাখ টাকা দাবি করেন মুসা। এই প্রস্তাবে সানাই ও তার পরিবার অস্বীকৃতি জানালে, ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি পুনরায় সংসার না করার হুমকি দেন এবং অন্যত্র বিয়ের ইঙ্গিতও দেন।
এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে সানাই মাহবুব একাধিকবার সমঝোতার চেষ্টা করেন। এমনকি ৭ ও ২২ জুলাই তাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। কিন্তু জবাবে মুসা সেই নোটিশকে মিথ্যা, বানোয়াট এবং মানহানিকর বলে দাবি করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে গুলশান ক্লাবে ফ্যাশন শো চলাকালে নির্মাতা গাজী মাহবুবের মাধ্যমে সানাই মাহবুব শোবিজে যুক্ত হন। এরপর ‘ভালোবাসা ২৪×৭’, ‘সুপ্ত আগুন’, ‘সাহসী যোদ্ধা’, ‘ময়নার ইতিকথা’, ‘প্রতিশোধ’, ‘প্রতীক্ষা’ সহ আটটিরও বেশি ছবিতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন।
এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার ঝড় উঠেছে। নেটিজেনরা সানাইয়ের এই সাহসিকতার প্রশংসা করছেন এবং যৌতুকের বিরুদ্ধে তার অবস্থানকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তথ্যসূত্র