বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করলেন, শেখ হাসিনা সরাসরি জড়িত গত ১৫ বছরের হত্যা ও গুমের ঘটনায়। গুম হওয়া পরিবারের ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা বিএনপির।
📝 শেখ হাসিনা হত্যাগুম: মির্জা ফখরুলের দাবি, গত ১৫ বছরের হত্যা ও গুমের সঙ্গে শেখ হাসিনা সরাসরি জড়িত। বিস্তারিত পড়ুন, গুম হওয়া পরিবারগুলোর আর্তনাদ ও বিএনপির প্রতিশ্রুতি।
শেখ হাসিনা হত্যাগুম: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দাবি করেন, পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরের হত্যা ও গুমের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তিনি আরও বলেন, যারা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য রাজনীতিবিদদের হত্যা করেছে, ভিন্নমতালম্বীদের গুম করেছে, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।
এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছিল গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’, যেখানে স্মৃতিচারণ ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে গুম হওয়া ব্যক্তিদের ছবি তুলে ধরা হয়। ফখরুল বলেন, “আমরা আন্তর্জাতিক গুম দিবসের প্রাক্কালে প্রতিজ্ঞা করছি, এই হত্যাগুমের চূড়ান্ত বিচার না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি এই পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশে গুম-হত্যা একটি ভয়ংকর রূপ নিয়েছিল। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, ছাত্রনেতা, সাংবাদিকসহ শত শত মানুষ রাতের আঁধারে গুম হয়ে গেছে। অনেক পরিবারের স্বপ্ন ভেঙে গেছে, সন্তান হারিয়েছে মা, স্বামী হারিয়েছে স্ত্রী। এই সমস্ত অমানবিক ঘটনার পেছনে তিনি শেখ হাসিনাকে দায়ী করেন।
শেখ হাসিনা হত্যাগুম ইস্যু এখন আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচিত। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (HRW), অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং জাতিসংঘ একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মির্জা ফখরুলের দাবি, এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিকল্পিতভাবে এসব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
বিএনপির অঙ্গীকার ও আগামী পদক্ষেপ
মির্জা ফখরুল স্পষ্ট করে বলেন, “গুম হওয়া প্রতিটি মানুষের জন্য বিচার নিশ্চিত করব। যারা এই অপকর্ম করেছে, তারা যত শক্তিশালী হোক, আইনের হাতে ধরা পড়বে।” তিনি আন্তর্জাতিক গুম দিবসকে (৩০ আগস্ট) সামনে রেখে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, গুম হওয়া ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করতে এবং দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করতে।
এই বক্তব্যের পর গুম হওয়া ব্যক্তিদের পুরনো ছবির প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন মির্জা ফখরুল। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে তিনি তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
শেখ হাসিনা হত্যাগুম বিতর্ক কেন এত আলোচিত?
দীর্ঘ ১৫ বছরে শত শত গুমের অভিযোগ।
বিরোধী নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে নিখোঁজ।
আন্তর্জাতিক মহলে একাধিকবার নিন্দা।
বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং পরিবারের অমানবিক কষ্ট।
শেখ হাসিনা হত্যাগুম বিষয়টি এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে কেন্দ্রীয় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ধরনের ইস্যু কেবল রাজনীতির গতিপথই নয়, মানবাধিকারের ভবিষ্যতও নির্ধারণ করবে।
বাংলাদেশে গুম ও হত্যা শুধু রাজনৈতিক প্রতিশোধ নয়, এটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। মির্জা ফখরুলের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রীয় অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হবে। বিএনপির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, এই হত্যাগুমের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তথ্যসূত্র
📰আরো পড়ুন:☞ ট্রাম্পের মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাবের পর বদলে গেল মাইকেল বুলোসের ভাগ্য – চমকপ্রদ প্রতারণা কেলেঙ্কারি ফাঁস!