📰 রাজনীতিতে নারীদের অনুপস্থিতি কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়, বরং এটি একটি ‘সিস্টেমেটিক প্রক্রিয়া’—এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন।
শুক্রবার রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ন টাওয়ারে এনসিপির কার্যালয়ে ‘মর্যাদাপূর্ণ বাংলাদেশ ও নতুন বন্দোবস্তের লক্ষ্যে নারীদের প্রত্যয়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে জাতীয় যুবশক্তি।
সামান্তা শারমিন বলেন, “জুলাই আন্দোলনে দেশের প্রতিটি জেলায় নারীরা সামনে ছিলেন। কিন্তু এখন বাস্তবতা হলো—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি থেকে শুরু করে সব কমিটিতে নারীদের সিস্টেমেটিকভাবে সাইড করা হচ্ছে। সাইবার বুলিংয়ের মাধ্যমে নারী নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। সমাজে এই বার্তা ছড়ানো হচ্ছে যে, মেয়েরা রাজনীতিতে অনিরাপদ।”
তিনি আরও জানান, নারীদের চরিত্রহনন, স্লাট শেমিং, সামাজিক আইসোলেশন ও সাইবার বুলিংয়ের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিসর থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরব ভূমিকারও সমালোচনা করেন তিনি।
সামান্তা বলেন, “পুরুষেরা যদি নিরাপত্তার ঝুঁকি অনুভব করেন, সেটা আমরা মেনে নিতে রাজি। কিন্তু নারীদের যারা সাইবার বুলিং, ক্যারেক্টার শেমিংয়ের মধ্যে ফেলে রাজনীতি থেকে দূরে রাখছে—সেটা আমরা মানতে পারি না। আমি প্রেস সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেন, ‘ডেটা নাই।’ এটা অত্যন্ত আশ্চর্যজনক।”
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তুমি কে, আমি কে, রাজাকার রাজাকার”—এই স্লোগানের মধ্য দিয়েই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ন্যারেটিভ ভেঙে পড়ে। সেই আন্দোলনে নারী শিক্ষার্থীরা পুরুষ সহযোদ্ধাদের রক্ষা করতে ফ্রন্টলাইনে ছিলেন। অনেক জেলা থেকেই এই সাহসিকতার খবর এসেছে।”
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবিন, বিএনপি-ঘনিষ্ঠ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহীনূর নার্গিস এবং বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মুখপাত্র আশরেফা খাতুন প্রমুখ। ◾