র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। জঙ্গি, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, যুদ্ধাপরাধী, জাল নোট ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, মানব পাচারকারী, প্রতারক, অপহরণকারী এবং বিভিন্ন মামলার মৃত্যুদন্ড ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার করে সাধারন জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
নিহত তামিম হোসেন (১৩) পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া শহরের দক্ষিণ মিঠাখালী মহল্লার বাসিন্দা ইয়াকুব আলী ফরাজির ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। পরিবারে অভাবের কারণে তামিম স্কুলে যাওয়ার পাশাপাশি বাবার অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাতে সহায়তা করত।
১০০ টাকা নিয়ে কিছুদিন আগে স্কুলছাত্র অটোচালক মো. তামিমের সাথে আসামিদের ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়। এর জেরে গত ৭ মে পরিকল্পিতভাবে অটোচালক তামিমকে নির্জন পথে আটকে হত্যা করে লাশ ডোবায় ফেলে রেখে তার অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায় আসামিরা। পরদিন গ্রামবাসী ডোবায় লাশ ভাসতে দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
এ ঘটনায় নিহত তামিমের মা তাজেনুর বেগম বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ পাথরঘাটা উপজেলার পূর্ব লেমুয়া গ্রামের মো. রিপন হাওলাদারের ছেলে মো. রিয়াজ হাওলাদার (২২) ও মঠবাড়িয়া উপজেলার দক্ষিণ মিঠাখালী গ্রামের মো. তোতা মিয়া হাওলাদারের ছেলে মো. রমজান মিয়া (১৫)।
মঠবাড়িয়া জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালতে হাজির করা হলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে তারা হত্যার দায় স্বীকার করে এবং সেখানে অন্যতম পলাতক আসামি মো: সাব্বির মাতব্বর (২০) এর নাম উঠে আসে। পরবর্তীতে মঠবাড়িয়া থানার তদন্তকারী কর্মকর্তার অধিযাচনের ভিত্তিতে র্যাব-৩, সিপিসি-৩ গোয়েন্দা নজরদারি এর মাধ্যমে আসামীর অবস্থান সনাক্ত করে।
এরই ধারাবাহিকতায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইং ২৩ জুলাই ২০২৫ তারিখ বিকেল ৫. ঘটিকায় বেস্ট বাই ৪০ অতীষ দীপঙ্কর রোড বাসাবো মুগদা থানাধীন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ।গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।