ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিশ্চিত করলেন ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে এবং তিনি আর কোনো রাষ্ট্রীয় পদে থাকবেন না। গণতন্ত্রের নতুন পথে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে।
📝 ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বড় ঘোষণা। নির্বাচন শেষে তিনি সব রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব ছাড়বেন। পড়ুন বিস্তারিত।
ডেস্ক রিপোর্ট : ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং এই নির্বাচন শেষে তিনি আর কোনো রাষ্ট্রীয় পদে থাকবেন না।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ডেসারাট নিউজে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে লিখেছেন, “আমি স্পষ্ট করেছি: জাতীয় নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারিতে হবে। এরপর যে সরকার আসবে, সেখানে নির্বাচিত বা নিযুক্ত কোনো পদে আমি থাকব না।”
এই ঘোষণার মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে চলমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার অবসান ঘটার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। দেশের তরুণ প্রজন্ম, সুশীল সমাজ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
ড. ইউনূস তাঁর নিবন্ধে উল্লেখ করেন, গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশে এক ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান ঘটে। হাজার হাজার শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী শাসকের পতন ঘটায়। এর পর ছাত্রনেতাদের অনুরোধে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব নেন।
তিনি বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করা। প্রতিটি বৈধ ভোটার যেন তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, বিদেশে অবস্থানরত নাগরিকরাও যেন ভোট দিতে পারে—এই কাজটি বিশাল, কিন্তু আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
নিবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, বিগত সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় বছরে ১০ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ করেছে। এই অর্থ উদ্ধারের জন্য তাদের সরকার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশ এখন নজরে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সহায়তা করছে। তিনি বিশেষভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ড. ইউনূস আরও বলেন, “বাংলাদেশ যদি একদিন এমন একটি দেশে পরিণত হয়, যেখানে প্রতিটি মানুষ মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিয়ে বসবাস করতে পারে, তবে তা হবে লাখো মানুষের দৃঢ়তা, কল্পনা ও সাহসের ফল।”
এই ঘোষণার পর রাজনৈতিক মহলে নতুন নির্বাচনী উন্মাদনা সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। তথ্যসূত্র
📰আরো পড়ুন:☞ সাবেক হিট অফিসার “বুশরা”র স্বামীর সিসা লাউঞ্জ অভিযান: চাঞ্চল্যকর পুলিশি তৎপরতা!