📝 গাজীপুরে সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) রবিউল ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ডের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ এবং গোপন তথ্যের ভিত্তিতে একে একে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে মহানগরের বিভিন্ন এলাকা ও রাজধানীর উত্তরা থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন— ফয়সাল ওরফে কেটু মিজান, তার স্ত্রী গোলাপী বেগম, স্বাধীন, আল আমিন ও সুমন। ফয়সালসহ তিনজনকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকা থেকে, আল আমিনকে উত্তরা তুরাগ এলাকা থেকে এবং স্বাধীনকে হোতাপাড়া এলাকা থেকে আটক করা হয়।
এরপর ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানা এলাকা থেকে মামলার অন্য দুই আসামি— পাবনার পাঁচবাড়িয়ার মো. ফয়সাল হাসান (২৩) এবং কুমিল্লার হোমনার মো. শাহ জালালকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুর স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। ঘটনাটি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সিসিটিভি ফুটেজে হত্যাকারীদের স্পষ্টভাবে চেনা যায়, যা গ্রেপ্তার অভিযানে বড় ভূমিকা রাখে।
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পেছনে ব্যক্তিগত বিরোধ ও পূর্বের একটি ঘটনার জের থাকতে পারে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে তদন্ত শেষ হওয়ার অপেক্ষা করতে হবে।
গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার এ ঘটনা দেশের সাংবাদিক মহলে গভীর ক্ষোভ ও শোকের সঞ্চার করেছে। বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন অবিলম্বে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দ্রুত চার্জশিট দাখিল করা হবে। তথ্যসূত্র
📰আরো পড়ুন:☞ অভিনেতা অপূর্বর ক্ষোভ: সন্তান ও পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা