📝 বাংলাদেশের পুলিশ সংস্কারের অংশ হিসেবে সরকার একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
এখন থেকে দেশের কোনো থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তা গ্রহণ করতেই হবে। কোনোভাবেই কাউকে জিডি না নিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না।
এই নির্দেশনা এসেছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সম্প্রতি গণভবনে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে বিশেষভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয় যে, কোনো ব্যক্তিকে থানায় জিডি করতে গেলে বাধা দেওয়া যাবে না।
সরকার জানিয়েছে, জিডি গ্রহণ না করা হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার মনে করে, নাগরিক অধিকার সুরক্ষায় জিডি একটি মৌলিক প্রক্রিয়া। কেউ যদি থানায় গিয়ে জিডি করতে চায় এবং পুলিশ তা না নেয়, তাহলে সে অন্যায়ভাবে হয়রানির শিকার হয়—এমন অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে।
এই অভিযোগ দূর করতে সরকার এবার সকল থানায় অনলাইন জিডির সুবিধা চালু করেছে। এখন দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে একজন নাগরিক নিজ ঘরে বসেই মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যমে থানায় জিডি করতে পারবেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “পুলিশ সংস্কার এখন আর কোনো কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ নয়, বাস্তবেই তা শুরু হয়েছে। সাধারণ মানুষের প্রতি দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। থানায় জিডি না নেওয়ার অভিযোগের দিন শেষ। এখন জনগণ সহজেই নিজেদের অধিকার আদায় করতে পারবে।”
সরকার আশা করছে, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে এবং জনগণের আস্থা ফিরে আসবে। 🔎তথ্যসূত্র/source
📰আরো পড়ুন👉◾জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আয়োজনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বান