রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।
এর আগে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী ডা. সায়েদুর রহমান ১৬ জন নিহতের কথা জানিয়েছিলেন। এখন পর্যন্ত দগ্ধ অবস্থায় জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ৫০ জনের বেশি বলে জানান তিনি।
এদিকে জানা গেছে, বিমান বিধ্বস্তের এ ঘটনায় অন্তত ১৫০ জন আহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই শিশু শিক্ষার্থী। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
দুর্ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ প্রত্যেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।
তিনি জানান, আহত শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে এসেছে। তাদের বার্ন ইন্সটিটিউট, কুর্মিটোলা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ও উত্তরার আধুনিক হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
আজ সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে উত্তরার দিয়াবাড়ী এলাকায় মাইলস্টোন কলেজের ক্যান্টিনের ছাদে এই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা লিমা খান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিমানটি মাইলস্টোন কলেজের ক্যান্টিনের ছাদে আছড়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের অন্তত তিনটি ইউনিট কাজ করছে। দুর্ঘটনার পরপরই বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে চারজনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়।
দুর্ঘটনাস্থলের নিরাপত্তা ও উদ্ধার কার্যক্রমে পুলিশের পাশাপাশি দুটি প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে।