📝 ইসি’র নতুন সিদ্ধান্তে দেশ চমকে গেছে: ‘বিনাভোটে কেউ নির্বাচিত হতে পারবে না’, ‘ফলাফলে সমান হলে রি-ভোট’, আরপিওতে এনেছেন বিস্ফোরক পরিবর্তন।
ডেস্ক রিপোর্ট: আজ, ১১ আগস্ট ২০২৫ (মঙ্গলবার রাত ৮:৫৬), নির্বাচন কমিশন (ইসি) একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর সিদ্ধান্তের ঘোষণা দিয়েছে: যদি নির্বাচন কমিশন চাই, তবে ৩০০টি আসনের ফলই বাতিল করা যাবে। এই বদলিকৃত ক্ষমতা নিয়ে গত সোমবার নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অনুমোদিত হয়েছে ।
বৈঠকে আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ)-এর সংস্কারপ্রস্তাবে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা কার্যকর হওয়ার পর সেই খসড়া চূয়ান্ত আকার পায়। আরপিওতে বিবিধ সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেমন— ‘না’ ভোটের বিধান, যেখানে শুধু একজন প্রার্থী থাকবে এবং বিনাভোটে কেউ নির্বাচিত হতে পারবে না। এছাড়া ফলাফলে সমান ভোট পেলে লটারি নয়, বরং পুনরায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: মিথ্যা হলফনামা দিলে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরেও তদন্ত করে এমপি পদ বাতিল করতে পারবে ।
এই অনিশ্চয়তা সৃষ্টিকারী সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক মহলে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠছে: ভবিষ্যৎ নির্বাচন হবে কতটা স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠু? বিনাভোট বিধান নিশ্চিত করবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মান, কিন্তু ফল বাতিলের ক্ষমতা দিয়ে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বাড়তে পারে কি? নিয়ন্ত্রক সংস্থার স্বাধীনতা মানা জরুরি, কিন্তু অতিরিক্ত ক্ষমতা দেউলিয়া রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘোষণা ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তুলেছে—একদিকে অনেকে নির্বাচনকে আরও স্বচ্ছ করতে এটি “স্বাধীনতার বিজয়” বলে দেখছে, অন্যদিকে কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, “এই ক্ষমতা কি অপব্যবহারে পরিণত হবে?”—এখানে জনপ্রশাসনের পারদর্শিতা এবং স্বচ্ছতার কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষমাণ রয়েছে।
রিপোর্টারের উচ্চারণে—“দেশ আজ এক অবসরের প্রান্তে দাঁড়িয়ে, যেখানে ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক স্বচ্ছতায় বড় ধরনের পরীক্ষা দেশকে মোকাবিলা করতে হবে।” তথ্যসূত্র
📰আরো পড়ুন:☞ সিলেটে পাথর লুটে অভিযুক্ত বিএনপি সভাপতি বহিষ্কার | ভয়াবহ তদন্তে বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
🌏 আমাদের খবর পড়ুন : www.motherland24.com
