📝 আজ ঐতিহাসিক ৫ আগস্টে জাতির উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
রাজধানীর জাতীয় সম্মেলন কেন্দ্র থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি জাতিকে আশ্বস্ত করেন যে, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতন্ত্র ও সুশাসনের পথ সুগম করতে একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
প্রফেসর ইউনূস তার বক্তব্যে বলেন, “আজ এই মহান দিবসে আপনাদের সামনে এ বক্তব্য রাখার পর থেকেই আমরা আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বচাচিতে গুরুতরপূর্ণ অধ্যায়ে প্রবেশ করব। আমরা এবার একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করব।”
তিনি আরও বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠাব, যেন নির্বাচন কমিশন আগামী রমজানের আগে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করেন।”
এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি একটি সুদূরপ্রসারী ও সাহসী পদক্ষেপ, যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৎকালীন সরকার পদত্যাগ করে এবং অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। দীর্ঘ এক বছর ধরে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এ সরকার কাজ করে চলেছে।
সার্বিক দিক বিবেচনায় এই ঘোষণাকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখছে দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক মহল। সব রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ এবং মিডিয়া ইতোমধ্যে এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে।
এখন সকলের দৃষ্টি নিবদ্ধ আগামী নির্বাচন এবং সেই নির্বাচন কতটা অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়, তার দিকে। 🔎তথ্যসূত্র/source
📰আরো পড়ুন👉◾জুলাই স্মৃতি জাদুঘরের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার