📝 জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর অন্যতম নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ অভিযোগ করেছেন যে, কক্সবাজারে তার সাম্প্রতিক ব্যক্তিগত সফরকে ঘিরে গোয়েন্দা সংস্থা ও কিছু গণমাধ্যম সম্মিলিতভাবে অপপ্রচার চালিয়েছে।
তিনি দাবি করেন, বিমানবন্দর থেকে শুরু করে সফরের প্রতিটি মুহূর্ত রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা পর্যবেক্ষণ করে ভিডিও ও ছবি সংগ্রহ করে এবং পরে তা কিছু সংবাদমাধ্যমের হাতে তুলে দেয়।
হাসনাতের ভাষায়, “এসব ভিডিওতে ক্রাইম মুভির মিউজিক যুক্ত করে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হয়েছে, যেন আমরা কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলাম।” তিনি আরও বলেন, তাদের সফর নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে যে, তারা ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে গোপন বৈঠকে যাচ্ছিলেন—যদিও সেই সময় পিটার হাস দেশে ছিলেন না।
ঘটনার প্রেক্ষাপটে এনসিপি নেতৃত্ব ৫ জন নেতাকে শোকজ নোটিশ দেয়, যেখানে বলা হয় তারা দলকে না জানিয়ে কক্সবাজার গেছেন। তবে হাসনাত দাবি করেন, দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে নাসিরউদ্দিনের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়েছিল।
হাসনাত অভিযোগ করেন, “গোয়েন্দা সংস্থা ও কিছু মিডিয়া এমনভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করেছে যেন আমরা রাষ্ট্রদ্রোহী কার্যক্রমে জড়িত।” তিনি এটিকে “ডিমোনাইজেশন টেকনিক” হিসেবে উল্লেখ করে সতর্ক করেন যে, আজ এটি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার হলেও ভবিষ্যতে অন্য কারও বিরুদ্ধেও ব্যবহার হতে পারে।
সবচেয়ে দুঃখজনক দিক হিসেবে হাসনাত তুলে ধরেন তাসনিম জারার বিরুদ্ধে পরিচালিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘নগ্ন ও কুরুচিপূর্ণ স্লাটশেইমিং’। তার অভিযোগ, “শুধু নারী হওয়ার কারণে তাসনিম জারাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে, যা ভবিষ্যতে রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ নিরুৎসাহিত করবে।”
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “কিছু মিডিয়া তাসনিমকে নিয়ে আপত্তিকর ও বিভ্রান্তিকর শিরোনাম ব্যবহার করেছে। এটি গোয়েন্দা সংস্থা ও গণমাধ্যমের সমন্বিত প্রচেষ্টা।”
রাজনৈতিক মহলে এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া তীব্র। বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের অপপ্রচার রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। তথ্যসূত্র
📰আরো পড়ুন:☞ গাজীপুরে পুলিশের সামনেই সাংবাদিককে বেধড়ক পিটুনি, গ্রেপ্তার ১